চাঁদপুর কচুয়ায় বিতারা ইউনিয়নের তেগুরিয়া গ্রামে পাটওয়ারী বাড়ি সংলগ্ন সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছা মতো বাড়ি-ঘর নির্মাণের মহাউৎসব চলছে। বছরের পর বছর ওই হালটে অবৈধ বাড়ী ঘর নির্মাণ যেন নিময়ে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচুয়ার তেগুরিয়া গ্রামে ৪শ’ মিটারের পুরনো একটি খাল রয়েছে। ওই খালটি গ্রামের মধ্যদিয়ে (তেগুরিয়া মজু প্রধানীয়া বাড়ী হয়ে নয়াকান্দি পর্যন্ত) খিরাই খালের সাথে সংযোগ রয়েছে।
গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী লোকজন নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য যার যার মতো করে খাল ভরাট ও দখল করে ঘরবাড়ি কিংবা দোকান পাঠ নির্মাণ করে নিচ্ছে, এ যেন মহের মুল্লুক, যেন দেখার কেউ নেই!
গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী লোক খালটির বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবং বর্ষা মৌসুম ও হঠাৎ বৃষ্টি হলে এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে গ্রামের ভিতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গেয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের অধিবাসী মো. জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী সরকারি হালটে অতি সম্প্রতি দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।
এভাবে একই এলাকার চারু পাটওয়ারী, আজিজ পাটওয়ারী, অলি উল্যাহ পাটওয়ারী, জসিম উদ্দিন পাটওয়ারীসহ বেশ কয়েকজন লোক বিভিন্ন সময়ে নিজেদের ইচ্ছা মতো খাম খেয়ালী ভাবে সরকারি হালটে মাটি দিয়ে ভরাট করে বাড়িসহ দোকান নির্মান করছেন। এতে করে খালের পানি কোথায় সরানো যাচ্ছে না। ফলে একটু বৃষ্টি হতে না হতেই প্রতিনিয়ত ওই গ্রামে জলবাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এলাকার স্থানীয় অধিবাসী, মো. আনোয়ার হোসেন প্রধান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান, মো.শহীদ উল্যাহ প্রধান, আলাউদ্দিন প্রধানসহ আরো বেশ কয়েকজন জানান, হালট দখলকারীরা সরকারি কোনো ধরনের নিয়ম নীতি না মেনে সরকারি হালট গুলোতে মাটি ভরাট করে দখল করে রেখেছেন। এই খালটি প্রায় ৪শ মিটার যা খিরাই খালের সাথে যুক্ত রয়েছে।
খালটিকে খনন না করা হলে এলাকার শত শত কৃষকের কর্ষ্টাজিত জমির ফসলাদি নষ্ট হবে পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিবে। তাই অচিরেই উপজেলা প্রশাষন অভিযান পরিচালনা করে, এসব অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে, খালটি খনন করা হলে আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন লোকজন।
প্রতিবাদী এলাকাবাসী জানান, এ ব্যাপারে আমরা চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
তিনি (এমপি মহোদয়) আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তা সমাধান করার। আমাদের দাবি যারা এই খালটিকে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে তাদের দখলমুক্ত করে খাল খনন করা হলে এলাকাবাসীর ও সাধারন কৃষকদের অনেক উপকার হবে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বিতারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ আলমগীর হোসেনের নির্দেশক্রমে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম গতকাল বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সরকারী হালটে দখল চেষ্টাকারী মো. জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী কে সরকারী হালটে কাজ না করার নির্দেশ দেন ।
এ সময় তিনি বলেন, এই খালটি রয়েছে ৪০০ মিটার। যারা এই খাল ভরাট করে বাড়ি দোকানপাট নির্মাণ করেছে তাদের কে নোটিশের মাধ্যমে ওই সব ভরাটকৃত জমি উচ্ছেদ করে খাল খনন করার তাগিদ দেয়া হবে। যদি তারা কোনো অবস্থাতে না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
স্টাফ করেসপন্ডেট
২১ মার্চ,২০১৯