কচুয়া

১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ভেঙ্গে যাচ্ছে কচুয়া-গৌরিপুর সড়ক

চাঁদপুরের কচুয়া-গৌরিপুর,হাজীগঞ্জ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও ব্যস্ততম সড়ক। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪২ কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব, চাঁদপুর, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন ঢাকা, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করে।

কাঁচপুর-মেঘনা, গোমতী সেতুর কাজ হওয়ায় এই সড়কে কচুয়া থেকে মাত্র দেড় ঘন্টায় যাতায়াত করে যাত্রীরা। দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন করে ওই সড়কে বাঁক সরলীকরন, ব্রীজ, কালভার্টের কাজ শেষ হয়েছে।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ অফিস সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লার মেসার্স এমআরসি ও মেসার্স হাসান বিল্ডার্স ১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে।

সরেজমিনে দেখা যায় ১২টি বাঁক সরলীকরন, ৪টি কালভার্ট ও ১টি ব্রীজ ইতিমধ্যে নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ না হতেই নির্মানাধীন সড়কটির অন্তত ২২টি স্থানে ভেঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে ।

সড়কের কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়কের বিভিন্ন স্তরে বালি, খোয়া ও পাথর আনুপাতিক হারে মিশ্রন না করার কারনে কাজ শেষ হতেই না হতেই সড়কটি ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে স্থানীয় অধিবাসীরা দাবি করছেন। কোন কোন স্থানে ভেঙ্গে সড়কের মাঝ খানে এসে পড়েছে।

ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আশংকা করছে যাত্রী ও সাধারন জনগন। ঈদকে ঘিরে গত কয়েক দিন বাস,ট্রাক ও সিএনজি দূর্ঘটনার কবলে পড়ে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।

বেশ কয়েকজন গাড়ি চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই সড়কের পালাখাল মোড়ে ২টি,দোয়াটি মেড়ে ২টিসহ অন্তত ৪টি স্থানে বাঁক সরলীকরণ খুবই ঝুকিপূর্ন হয়েছে। কারণ সড়কের বাঁকের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের গাড়ি দেখা যায়না। এতে দুর্ঘটানর ঝুঁকি আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় ভেঙ্গে যাওয়া সড়কটির বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মুঠোফেনে বারবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কচুয়া
১৩ জুন ২০১৯

Share