কচুয়া

অতি বৃষ্টিতে কচুয়ায় টানা তিন বছর কৃষকদের মাথায় হাত

অতি বৃষ্টি হলেও চাঁদপুর কচুয়ায় এবারো আলু চাষীদের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত দু’বছর কৃষকরা তাদের স্বপ্নের ফসল আলুর ফলন গৃহে তোলার পূর্ব মূহুর্তে কচুয়ার বিভিন্ন এলাকায় অতি বৃষ্টির ফলে শত শত মন আলু নষ্টে হয়ে যায়।

কিন্তু এ বছর কৃষকদের কাঙ্খিত ফলন হলেও অতি বৃষ্টির ফলে এবং আলুর কাঙ্খিত দাম না থাকায় খরচ পুষিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছেকচুয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এ বছর মোট ২ হাজার ২ শত ৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে।

তন্মধ্যে অতি বৃষ্টির কারনে ২শ ৫০ হেক্টর আলুর জমি নষ্ট হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আলু চাষীদের সাথে আলাপকালে তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক ও তৃপ্তির হাসি লক্ষ্য করা গেলেও দাম নিয়ে তারা খুবই বিপাকে রয়েছেন বলে জানান। যদিও কোথাও কোথাও অধিকাংশ জমির আলু ঘরে তোলার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর টানা কয়েকদিন অতি বৃষ্টিতে ২শ ৫০ হেক্টর আলুর জমি নষ্ট হয়েছে।

কৃষক মনির হোসেন জানায়, প্রতিমন আলু যেখানে ৮শ’ থেকে ৯শ’টাকা হওয়ার কথা সেখানে আলুর বর্তমান বাজার মূল্য মন ৩শ’ থেকে ৩শ’৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ আমরা আলু চাষীরা। ন্যায্য দাম না পেলে দিন দিন আলু চাষীরা আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তিনি আরো জানান, প্রতি বছর হিমাগারে আলু সংরক্ষণের পরও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এক্ষেত্রে কৃষকরা হতাশ।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব চাঁদপুর টাইমসকে জানান, চলতি মৌসুমে কচুয়ায় আলুর ভালো ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে এসব ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে কৃষকদের ভুট্টার আবাদ করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
৫ মার্চ,২০১৯

Share