চাঁদপুর কচুয়ায় দক্ষিন বিতারা গ্রামে সরকারি সিডিউল মোতাবেক ও গ্রামবাসীর গত কয়েকদিনের আন্দোলনের পর অবশেষে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরেন হস্তক্ষেপে নির্ধারিত স্থানেই নির্মিত হচ্ছে নতুন ব্রীজ।
যদিও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বেও বলেছিলেন, একটুও লড়বে না। যেখানের ব্রীজ সেখানেই নির্মান হবে।
গত কয়েকদিন দক্ষিন বিতারা গ্রামের সাধারন লোকজনের অব্যাহত আন্দোলনের ঘটনায় ও বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ফলে গতকাল শনিবার(৬ এপ্রিল) বিকেলে বিতারা গ্রামে ব্রীজ নির্মানের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির।
এসময় তিনি দক্ষিন বিতারা ও উত্তর বিতারা গ্রামের স্থানীয় লোকজনের সাথে ব্যাপক আলাপ আলোচনা করে দক্ষিন বিতারা গ্রামেই ডাক্তার বাড়ী- ইউনুছ মুন্সীর বাড়ীর পার্শ্বে খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি উত্তর বিতারা গ্রামে আগামী ১ বছরের মধ্যে জনস্বার্থে নতুন ব্রীজ দেয়ার ঘোষণা দেন। এসময় গ্রামবাসীর তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান দক্ষিন বিতারা গ্রামে ব্রীজের মালামাল নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন এবং উত্তর বিতারা হোসেন মিয়া প্রধানের বাড়ীর সামনে ব্রীজ কাটা স্থানে বাশের সাকো দেয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ প্রদান করেন।
সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, ২০১৮-২০১৯অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় গ্রামীন রাস্তায় কমবেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে কালভার্ট নির্মানের আওতায় কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামের বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর সেতু নির্মানের প্রকল্প অনুমোদন হয়। যার স্মারক নং- ৫১.০১.১৩৫৮.০০০.১৪.০০১.১৯-৪৫। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫শ ৩০ টাকা।
ব্রীজটির নির্মাণ কাজের অনুমোদনের পর গত ৭-৮ দিন আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মোঃ সুলতান আহমেদ ওই স্থানে নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য বেচ কাটাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ শুরু করেন।
কিন্তু স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, ওই ব্রীজটি বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর নির্মিত না হয়ে একই গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে হোসেন মিয়া প্রধানের বাড়ির সামনে খালের উপর নির্মান হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে এলাকাবাসী তুমুল ফুঁসে উঠেন, এবং ব্রীজ নির্মানে বিরোধিতা করেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিতারা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ অলিউল্যাহ সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোসলেম মোল্লা, মো. জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু ও যুবলীগ নেতা কাউছার আলম রুবেল বলেন, অবশেষে জনতার জয় হয়েছে। ইউপি সদস্য ইউনুছ মুন্সি গংরা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলে অনেক চেষ্টা তদবীর করেও জনগনের কাছে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
৬ এপ্রিল,২০১৯