গত সোমবার চাঁদপুরবাসীর জন্যে ছিলো আনন্দের দিন ছিল : জেলা প্রশাসক

হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী। আগামী ২৩ আগস্ট এ জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্মাষ্টমী উদযাপনে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ‘চাঁদপুরবাসীর জন্য আনন্দের দিন ছিল গত সোমবার। প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা করেছেন। আর তা সম্ভব হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির উদ্যোগে।

জন্মাষ্টমি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মহান ব্যক্তি তার নাম হলো শ্রীকৃষ্ণ। আর শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জন্মাষ্টমী উৎসব করে থাকে। এ উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত দূর্গা পূজায় আমরা হাজীগঞ্জে গিয়ে অভিভুত হয়েছি। এত সুন্দর করে চাঁদপুরে পূজার আয়োজন করা হয় তা চোখে না না দেখে বিশ্বাস করা যায় না। পৃথিবীতে যত মহান পুরুষ এসেছে তাদের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ অন্যতম। শ্রীকৃষ্ণকে যখনই দেখবেন তখনই তাকে নৃত্য আসনে দেখা যায়। বুদ্ধদেব দেখলে মনে হবে ভিক্ষুকের মতো বসে আছে। একেকজন মহাপুুরুষ একেকভাবে একেক ধ্যানে অবস্থান করেন।

মহাপুরুষরা সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা তাদেরকে খুঁজে পাই না। শ্রীকৃষ্ণকে খোঁজার জন্যই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করে থাকে। আমরা কী সঠিকভাবে এ মহাপুরুষদেরকে খুঁজে পাই? যুগের পর যুগ যাচ্ছে কিন্তু তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকল ধর্মের বাণী শাশ্বত হওয়া দরকার। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণ করছেন। অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমরা রাধা অষ্টমীতে চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি মন্দিরে ঝাঁকজমকভাবে উদ্যাপন করব। জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনী নিয়ে ্আলোচনা করা হবে। এ বছর জেলা জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান করা হবে পুরাণবাজার দাস পাড়া মন্দিরে। এর কারণ হলো গত কিছুদিন পূর্বে এই মন্দিরটি দুষ্কৃতকারীরা ভেঙ্গে দিয়েছিল।

গত ৩ আগস্ট হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গনে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন হয়েছে। প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে ভাঙ্গন রোধ করতে। হরিসভা মন্দির থেকে জন্মাষ্টমী র‌্যালি বের করা হবে। র‌্যালিটি পুরাণবাজার ঘোষপাড়া দাসপাড়া হয়ে নতুন বাজার প্রদক্ষিন করবে।

সরকারি যে অনুদান পাওয়া গেছে তেমনি যেন উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিলে সেখানেও জন্মাষ্টমী উৎসব ভালোভাবে করা যাবে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কেননা একটি গোষ্ঠী এখনও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ শওকত ওসমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী,

জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক অরূপ কুমার শ্যাম, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর,

সাংবাদিক বিমল চৌধুরী, হাইমচর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বিবেক লাল মজুমদার, মতলব উত্তর উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের শ্যামল বারই, হাজীগঞ্জ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধুভূষণ রায়, সাধারণ সম্পাদক রতন সরকার প্রমুখ।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক, ২০ আগস্ট ২০১৯

Share