চাঁদপুর

শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যে চাঁদপুর জনতা ব্যাংকে ২৪ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ

চাঁদপুরে জনতা ব্যাংকের ১৭ শাখায় চাকরিজীবী খাতে চলতি বছর (২০১৮-২০১৯) ২৪ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রয়েছে। ব্যাংকের ভাষায় ইহাকে পেশাজীবী ঋণ বলা হয়।

এ অর্থ বছরে বেসকারি স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠান,আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন,সাময়িক আর্থিক সমস্যা নিরসন,সন্তান-সন্তানাদির বিয়ে ইত্যাদির জন্যে শিক্ষক-কর্মচারীরার্ ঋণের আবেদন করে থাকেন। জনতা ব্যাংক চাকরিজীবী খাতের বরাদ্দ থেকে এ ঋণ প্রদান করে থাকে ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চাঁদপুর জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার দেয়া এ তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে মতে,চাঁদপুর জেলার জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় এপ্রিল ২০১৯ চাকরিজীবী খাতে চলতি বছরের ওই বরাদ্দ থেকে জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯শ’৪০ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করেছে । এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত আদায় করেছে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

প্রতি গ্রাহককে ১২ % সরল সুদে ৩৬ মাসের মধ্যে প্রতি মাসের কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধ করার বিধি রয়েছে। যে কোনো চাকরিজীবী গ্রাহক প্রতিমাসের বেতনের ১২ গুণ সম-পরিমাণ টাকা ঋণের জন্যে আবেদন করতে পারেন। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এ ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

চাঁদপুর জনতা ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার সঞ্চয় কুন্ডু মঙ্গলবার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘জনতা ব্যাংকের এ স্কীমটি চাকরিজীবীদের জন্যে একটি মাইলফলক।পারিবারিক নানাবিধ অর্থনৈতিক সার্পোট নেয়ার মত এটি একটি চমৎকার সুযোগ। ব্যাংক জামানতবিহীন একজন গ্রাহককে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে।

বিশেষ করে অস্বচ্ছল বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক চাকুরিজীবদের জন্যে এ স্কীমটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’সহজেই ব্যাংকের এ খাতে শতভাগ ঋণ আদায়ও সম্ভব।’

প্রসঙ্গত, জনতা ব্যাংক ২০০৪ সালে এ স্কীম টি প্রবর্তন করে। দেশের বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের মত চাকরিজীবী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকগণ যে সব শাখা থেকে নিজ নিজ বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন তারাই কেবলমাত্র চাকরিজীবী খাতের ঋণ পাওয়ার যোগ্য।

এ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক চাঁপুরের শাখাগুলো ২৫,০৫৯ জনকে ১শ’৮৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে । যা শতভাগই আদায়যোগ্য । এখানে খেলাপি হঙয়ার কোনোই সুযোগ নেই । কেননা বেসকারি স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনভাতা যে শাখা থেকে উত্তোলন করেন সে শাখাই ঋণ প্রদান করে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
২৩ মে ২০১৯

Share