চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তর চাঁদপুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণে জেলার ৮ উপজেলায় ১ লাখ টাকা করে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতেই চাঁদপুরে এ পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে ।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী সোমবার (১৯ আগস্ট) চাঁদপুর টাইমসকে জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রতি উপজেলায় এ বরাদ্দ কম-বেশি হারে ২শ’৫০ কেজি করে মাছের পোনা জেলার সবকারি-বেসরকারি পুকুর ও উমুক্ত জলাশয়ে ৩১ আগস্টের মধ্যে স্ব-স্ব নির্বাচনি এলাকার সংসদ সদস্য ও উপজেলার জনপ্রতিনিধি,নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে সম্পৃক্ত করে মৎস্য কর্মকর্তাগণকে মাছের পোনা অবমুক্ত করার নির্দেশ রয়েছে।
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি,আমিষের চাহিদাপুরণ ও মাছে চাষে উৎসাহ বাড়াতে মৎস্য বিভাগ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বেসরকারি বা ব্যাক্তি মালিকানাধীন মাছের রেণু উৎপাদনকারী হ্যাচারী বা নার্সরী থেকে ৪-৬ ইঞ্চি পরিমাপের রুই,কাতল ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা সরকারি কোটেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ ব্যবস্থা করে থাকেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের দেয়া সূত্র মতে- এরইমধ্যে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, হাজীগ্ঞ্জ উমুক্ত জলাশয় ও সরকারিÑবেসরকারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। বাকি উপজেলাসমুহে সংসদ সদস্য ও উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সুবিধামত সময়ে ঔ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে বলে জানা যায়।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘দেশের মৎস্য বিভাগ উমুক্ত জলাশয়ে ও পুকুরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও চাষীদের উৎসাহ বাড়াতেই পোনা অবমুক্ত করা হয়। এতে আমিষের চাহিদা পুরণে সহায়ক হবে ও খাল,বিল ও নদীতে দেশিয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সকল জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করেই চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ এ কাজটি করে থাকে।’
প্রতিবেদনে : আবদুল গনি,২০ আগস্ট ২০১৯ ।