হাইমচর এলাকার চরাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে ১৯৬৮ সালে জাতীয় নেতা, হাইমচরের কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সাবেক সংসদ সদস্য কমরেড মরহুম আব্দুল্লাহ সরকার তৎকালীন হাইমচর বাজারেরই অংশ পূর্বপাশে পতিত একটি ডোবা ভরাট করে প্রায় একশ’ শিক্ষার্থী নিয়ে হাইমচর ‘জুনিয়র স্কুল ’ নামে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
তখন এর প্রধানশিক্ষক ছিলেন মরহুম আবদুল গণি গাজী আলীগড় বি.এ। তাঁর নামের সাথে আলীগড় বি.এ না লিখলে বা না বললে তিনি মনক্ষুন্ন হতেন। তখন এতদঞ্চলে মাধ্যমিক স্কুল ছিল না।
১৯৭০ সালে এটি হাই স্কুলে ও স্বল্প সময়ের পরিক্রমায় বিদ্যালয়টি এক সময় হাইমচর পাইলট হাই স্কুলে উন্নীত হয়। ২০১৮ সালে স্কুলটির ৫০ বছর পূর্তি ‘সূবর্ণজয়ন্তী ’ অনুষ্ঠান উদযাপন ১৮ জানুয়ারি সম্পন্ন হয়্। আমি আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই । কেননা এ ধরনের অনুষ্ঠান করতে অনেক অর্থ ও পরিশ্রম করতে হয়েছে।
আমি ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েই ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই এবং ১৯৭৮ সালে এ বিদ্যাপাঠ থেকে এসএসসি পাশ করে সাহাতলীর জিলানী চিশতী কলেজে ১৯৭৮ সালে ভর্তি হই। আমার ব্যাচম্যাট যারা ছিলেন তাদের এ মুহুর্তে অনেকের কথাই মনে পড়ে। হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটিতে আমার শিক্ষা জীবনে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত হাজারো দৃশ্য আর নানা অভিব্যক্তি আজ ধূসর স্মৃতির আয়নায় ভেসে উঠছে ।
স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় মরহুম আব্দুল্লাহ সরকারের সাথে যাঁরা সম্পৃক্ত ছিলেন-তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন- অ্যাড.ফজলুল হক সরকার, হাইমচর বাজারের তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম ছিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী, ডা. আ.ছালাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা সরকার, মরহুম বশির উল্যাহ মাস্টার, মরহুম আবদুর রাজ্জাক শনি, মরহুম জহিরুল ইসলাম সরকার, প্রধান শিক্ষক মরহুম জাহিদুল ইসলাম সরকার, প্রয়াত হরে গোবিন্দ মাঝি, শ্রীকৃষ্ণ মাঝি, রামকৃষ্ণ মাঝি, নন্দ কুন্ডু , জলধর বাঙালী, মরহুম আলী আহমদ সরকার ও মো. সেকান্দর সরকার প্রমুখ।
এ বিদ্যাপীঠটির প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়েই তাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা , আর্থিক সহায়তা ও আন্তরিকতায় হাইমচরের মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তার প্রসার লাভ করে এবং উচ্চ শিক্ষার দ্বার উম্মুক্ত হয় । শুরু থেকেই যাঁরা এর চালিকা শক্তি হিসেবে অবৈতনিক বা সামান্য নামকাস্তের বেতনে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় প্রবেশ করে হাইমচরের শিক্ষার ভীত রচনা করেন- তাঁরা হলেন- এ্যাড.ফজলুল হক সরকার,মরহুম সিরাজুর ইসলাম , প্রায়ত জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র রায় , মরহুম শাহজাহান সরকার, মরহুম মাও.আবদুল করিম, মরহুম জয়নাল আবদীন মুন্সী, মরহুম আ. রাজ্জাক, প্রয়াত অরুণ মজুমদার, প্রয়াত কবির বরণ সাহা, মরহুম ফৌজদার খান ও শহীদ কাইয়ূম।
সম্ভবত ১৯৭০ সালে কুমিল্লা বোর্ডের তৎকালীন বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রীতিকণা বড়ূয়া সর্বপ্রথম স্কুলটি পরিদর্শনে এসে একটি রিপোর্ট দেন। যার ফলেই এটি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসা শাখা নিয়ে নতুন উদ্যোমে যাত্রা শুরু করে। স্কুলটির চারপাশে ছিল- হাইমচর থানা, হাসপাতাল, নীলকমল ইউপি ও তহশীল অফিস, হাইমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এর সংলগ্ন হাইমচরের ঐতিহ্য পান-সুপারির বাজার, হাইমচর জামে মসজিদ ও তৎসংলগ্ন বিরাট গরুর বাজার ।
এর মাঝখানে ছিল একটি বড় পুকুর। জাতীয় নেতা, হাইমচরের কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অনুরাগী মরহুম আব্দুল্লাহ সরকার ও তৎকালীন হাইমচরের সকল শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় ১৯৭০ সালে হিন্দুধর্মাম্বলী আক্রা মন্দিরের সামান্য পূর্বদিকে টিনসেটে একটি সুপারির বাগানে নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠা করেন আজকের হাইমচর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। যার প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নেতা মরহুম আব্দুল্লাহ সরকার ।
এলাকার নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ১৯৭০ সাল থেকে এটাই মেয়েদের প্রথম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর সামনে দিয়ে চলে গিয়েছিল চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। আমার জানা মতে, হাইমচরের প্রত্যেক শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকগণ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের বীর সৈনিক। ফলে উভয় স্কুলের শিক্ষকগণ আঙ্গিনা ছেড়ে ৯ মাস মুক্তি সংগ্রামে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতার পর পর এলাকা ও বাজার ব্যবসায়ীদের চাপে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুম আব্দুল্লাহ সরকার এর অবৈতনিক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন ।
১৯৭২ সালের শেষ ভাগে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ায় পর প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব রায়পুরের ক্যাম্পের হাট নামক স্থানের অধিবাসী প্রয়াত রমেশচন্দ্র সরকারের ওপর ন্যস্ত করে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।
শুধু হাইমচর, চরশোলান্দী ,শুল্লুকিয়া , শনিকান্দি, লালচান সরদারের কান্দি, মুন্সি কান্দি, ছৈয়াল কান্দি, তাঁজখার কান্দি নয় নদীর পশ্চিম তীরের ডামুড্যা, শরীয়তপুর ও ভেদেরগঞ্জ চরাঞ্চল থেকে আসা ছাত্রগণ এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়ার সুযোগ গ্রহণ করে। ডামুড্যা, শরীয়তপুর ও ভেদেরগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রগণ লজিং থেকে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিতেন শিক্ষকগণ। তখন মেঘনা নদীটি ছিল হাইমচর বাজার থেকে পশ্চিম দিকে মালতকান্দির পর ৬-৭ কি.মি পশ্চিমে।
১৯৬২-৬৩ সনে মুন্সীরকান্দির পূর্ব দিকে তৎকালীন চাঁদপুর সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ শুরু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মেঘনার ভাঙ্গন ক্রমশ: বাম তীরে ভেঙ্গে চাপতে থাকে। মেঘনা ভাঙ্গন প্রতিরোধে কমরেড মরহুম আবদুল্লা সরকার জাতীয় সংসদ থাকা অবস্থায় এক সফরে রাশিয়া গেলে একদল বিশেষজ্ঞ দল চাঁদপুর-হাইমচর এসে একটি রিপোর্ট পেশ করলেও তা আর কার্যকর হয় নি।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ১৯৭০ সাল থেকে ২০ বছরের মাথায় হাইমচর এলাকাটি মেঘনা নদীর ভাঙনের মুখামুখি হয়। হাইমচরের মেঘনা নদীর প্রচন্ড ভাঙন স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে ১৯৮৭ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আসলে হাইমচারবাসীর দাবির মুখে হাইমচর বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দু’টো সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। এরপর বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়ে যায়। যার নাম স্বয়ংক্রীয়ভাবে পাল্টে বর্তমানে হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ হয়।
এদিকে ক্রমান্বয়ে পূর্ব তীরে প্রচন্ড নদীভাঙ্গন শুরু হলে ১৯৮৭ সালে সর্বপ্রথম হাইমচর স্কুল ও বাজারটি নদীভাঙন কবলিত হয় এবং হাইমচরের শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক হুমকির মুখে পতিত হয়। স্কুলের উত্তরপাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হাইমচর প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাতীয় ঘোষণায় এটিও সরকারিকরণ হয়ে যায়। তখনকার শিক্ষকদের মধ্যে মনে পড়ে প্রধানশিক্ষক মরহুম জাহিদুল হোসেন সরকার, মরহুম নেয়াজ মাস্টার, মরহুম মাও.শহিদুল্লাহ ও মরহুম আহাসানউল্লা মাস্টারের মত শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক মহোদয়দের কথা। এ স্কুল থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা শেষে অনেকেই আজকের হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হত।
নদীভাঙ্গনে এটি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো লন্ডভন্ড হয়ে গেলে স্কুলটি আবার স্থানারিত করা হয় ১৯৮৮ সালে। এটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো মেঘনার কড়াল গ্রাসে পতিত হলে এ স্কুলটি স্থানারিত করা হয় তৃতীয়বারে মত ১৯৯৩ সালে বর্তমান স্থানে।
নদীভাঙনে এটি উপজেলা কমপ্লেক্সের কাছে এনে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত। নদীভাঙ্গন কিংবা রাজনৈতিক কারণে স্কুল মাঠে হাইমচরে এসেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম মিজানুর রহমান চৌধূরী, শিক্ষামন্ত্রী মরহুম ইউসুফ আলী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএ জি ওচমানী, সাবেক মন্ত্রী মরহুম আ.রাজ্জাক ও সাবেক অনেক সরকারি কর্মকর্তাগণ।
ভাঙনের দুর্দশায় প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ সরকারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সার্বিক পরামর্শ আন্তরিকতা ও শিক্ষা বিস্তারের উন্নত মানসিকতায় আজও হাইমচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে। শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও হাইমচরের তৎকালীন সকল ব্যবসায়ী মহল স্কুলের সার্বিক অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতেন। অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তিগণ সাদা ধব ধবে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিধান করে অনুষ্ঠানের ডায়াচে উপবিষ্ঠ হয়ে তখনকার শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতেন।
এসব ব্যক্তিগণ ছিলেন ওই সময়ের স্কুলের অলংকার। কারণ তারাই শিক্ষাবিস্তারে হাইমচরকে উন্নত শিখরে উঠতে সহায়তা করেন। মনে পড়ে আজ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম সিরাজুল ইসলাম ও কবিরবরণ সাহার কথা। এ দু’জন স্কুলের স্বাধীনতা দিবস, মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্ট অত্যন্ত দক্ষতা ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় পরিচালনা করে আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে উদ্বেলিত করতেন।
শীত মৌসুম শুরু হলে ভলিবল প্রতিযোগিতা যা ছিল অত্যন্ত মনোরম ও আকর্ষণীয়। বাজার ব্যবসায়ীদের আন্তরিকতায় তখন স্কুলের অনেক অভ্যন্তরীণ আর্থিক সমস্যার বিষয়টি সমাধান হতো। ব্যবসায়ীগণ, শিক্ষক ও সংগঠক হিসেবে তাঁরা যে কত সুন্দর মনের মানুষ ছিলেন তা ’ বলার আর অপেক্ষা রাখে না। সত্যিই আজ আমরা তাঁদের কাছে ঋণী ।
ফলে ৫০ বছর পূর্তির ‘সূবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠান করার প্রয়াস পেয়েছে এর সাবেক শিক্ষার্থীরা। এসব দৃশ্য আজ কেবলই ধূসর স্মৃতি। এ বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র আছেন যাঁরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন আছেন ও নিজ নিজ পেশায় থেকে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়েজিত রয়েছেন।
হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির ‘সূবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে যে সকল শ্রদ্ধাভাজন কৃতিমান পুরুষ, শিক্ষানুরাগী , সমাজসেবক, শুভাকাক্সক্ষী ও শিক্ষক স্কুলটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হাইমচরের শিক্ষা বিস্তারে অবদান রেখে গেছেন তাঁদের আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। যাঁরা আজও বেঁচে আছেন তাঁদের সু-স্বাস্থ্য, সুন্দরজীবন ও দীর্ঘায়ূ এবং যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁরা প্রতিষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী,সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক,
কৃষিবিদ , সেনা, নৌ, পুলিশ বাহিনীর সদস্য, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী , চিত্র ও কন্ঠ শিল্পী প্রমুখ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আজ মিলন মেলায় পরিণত হবে হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আল্লাহ হাফেজ ।
লেখক : আবদুল গনি, প্রাক্তন ছাত্র, সহকারী শিক্ষক, সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়,
সহ-সম্পাদক চাঁদপুর টাইমস,চাঁদপুর প্রতিনিধি বাংলাদেশ পোস্ট ।
Email : abghoni71@gmail.com ২০ জানুযারি ২০১৯