লাইফস্টাইল

মাদার তেরেসা ছিলেন মানবতাবাদী নারী

১৯৯৭ সালের (৫ সেপ্টেম্বর ) দিনে মৃত্যুবরণ করেন মানবতাবাদী নারী মাদার তেরেসা। তার পারিবারিক নাম অ্যাগনেস গনজা বয়াজু। সন্ন্যাসজীবনে তেরেসা নামটি নেন তিনি। জন্ম ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট বর্তমান মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়েতে।

তিনি সন্ন্যাসজীবন গ্রহণের তারিখ ২৭ আগস্টকেই জন্মদিন মানতেন। তার আট বছর বয়সে রাজনীতিবিদ বাবার মৃত্যু হয় এবং মা ছোট অ্যাগনেসকে রোমান ক্যাথলিক আদর্শে বড় করবেন বলে ঠিক করেন।

মিশনারিদের কর্মজীবন ভালো লেগে যাওয়ায় তেরেসা ১২ বছর বয়সে ধর্মীয় জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি ‘সিস্টার্স অব লরেটো’ সংস্থায় যুক্ত হন। পরের বছর সংগঠন তাকে ধর্মসেবার কাজে ভারতে পাঠায়।

১৯৩১ সালে প্রথম,তারপর ১৯৩৭ সালে কলকাতায় কনভেন্ট স্কুলে পড়ানোর সময় চূড়ান্তভাবে তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। উপমহাদেশে মন্বন্তর ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু তাকে বিচলিত করেছিল।

১৯৪৮ সালের ১৭ আগস্ট কনভেন্ট ছেড়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন,ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য হাত পাতেন দ্বারে দ্বারে। ১৯৫০ সালে গড়েন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’,সংগঠনটি আজ বিশ্ববিস্তৃত।

আর্তমানবতার সেবায় তিনি বারবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একাত্তর সালে বাংলাদেশে এসে তিনি নির্যাতিত নারী ও অনাথ শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন চ্যারিটি মিশন। এসেছিলেন ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পরও। ১৯৭৯ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়।

নোবেল পুরস্কারের অর্থ পেয়ে তিনি বলেছিলেন,‘ভালোই হলো,এ টাকায় ফুটপাতের মানুষগুলোর জন্য কিছু করা যাবে।’ তিনি প্রায় ৮০০টি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

বার্তা কক্ষ
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Share