হিমুপ্লিয়া-বি’রোগে আক্রান্ত হামজাকে মানবিক সাহায্যের আবেদন করেন তার মা কুলছুমা। মো.হামজা, পিতার নাম মো.মামুন ও মাতার নাম কুলছুমা বেগম। চাঁদপুর সদরের দাসাদী গ্রামে তার বাড়ি। বর্তমান বয়স ১১ বছর। ১ বছর বয়সেই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা হামজা ২০১৮ সালে দাসাদী ডি এস আই কামিল মাদ্রাসা থেকে এবতেদায়ি পরীক্ষায় এ + পেয়ে এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।
তার মা একজন স্বামী পরিত্যাক্তা । পৃথিবীতে তার আপন বলতে কেই নেই। সে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজসহ রীতিমত মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে যাচ্ছে । হাতের লেখা খুবই সুন্দর ও মেধাবী।
পরিতাপের বিষয় হলো হামজা বর্তমানে ‘ হিমুপ্লিয়া-বি’ নামক একটি জটিল রোগে আক্রান্ত। ১ বা দেড় মাসের মাথায় তার হাত-পা ফুলে যায় বা অবশ হয়ে যায় ও প্রায়ই শরীরের রক্ত জমাট হয়ে যায়। ১ বছর বয়সেই ঢাকা শিশুহাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করালে চিকিৎসক রোগটি অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ণয় করতে পেরেছেন।
সে থেকেই তার মা কুলছুমা চিকিৎসক ও অনেকের সহায়তায় তার চিকিৎসা দিয়ে আসছে। সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। চিকিৎসক তাকে খেলাধূলা বা নানাবিধ কাজ কর্ম ও পড়াশুনা চাপ থেকে বিরত থাকতে এবং সর্বোচ্চ সর্তকতার সহিত চলাফেরার জন্যে বলেন।
১ বা দেড় মাসের মাথায় তার বেঁচে থাকার জন্যে প্রয়োজন ১২ হাজার টাকা দামের বিদেশি একটি ইনজেকশন। যার নাম ‘ ফ্যাক্টর-৯ ও সাদা রক্ত। রক্তের যার নাম ‘ফ্রেস পাজমা এ ৫০’ বি পজিটিভ। যার মূল্য ৭-৮শ’ টাকা ।
ইনজেকশনটি পূর্ব থেকে টাকা আগাম পরিশোধে বিদেশ থেকে আনতে হয়। এর কারণে তার ‘সুন্নাতে খতনা ’ করানোও যাচ্ছে না। চিকিৎসকদের মতে, ভারতে সম্ভব হলেও প্রয়োজন ২ লাখ টাকা। একজন স্বামী পরিত্যাক্তা হতভাগা মায়ের পক্ষে তার খাওয়া-দাওয়া , লেখাপড়া ও নিয়মিত চিকিৎসা করানো কতটুকু সম্ভব তা’ সহজেই অনুমেয়। তার মা জানান, চিকিৎসা না করালে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে তার চিকিৎসক বলেছেন।
বর্তমানে তাকে অন্তত : বাঁচিয়ে রাখতে সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সাহায্য কামনা করেন। বিশেষ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আকুল আবেদন জানান। তার সাথে যোগাযোগ ও বিকাশ নম্বর- ০১৮৫৮-৫৯৮ ৯৬৫।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯