চাঁদপুর

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ৩ দিনে প্রায় ২ শতাধিক রোগী ভর্তি

থেমে থেমে বৃষ্টি পরবর্তী রোদে গরম আবহাওয়া দুর্যোগে প্রচন্ড গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ শিশু রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে।

গত ৩ ’দিনে হাসপাতালে প্রায় দুই শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। শহর এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা।

গত ১৫ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে প্রায় ২,শ জন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে। আবহওয়া দুর্যোগের কারনে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, বমি, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হওয়ার কারন বলে জানা গেছে।

তবে এদের মধ্যে এক মাস বয়স থেকে শুরু করে চার, পাঁচ মাস বয়সী শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি বলে হাসপাতালের ডিউটিরত নার্সরা জানান। হঠাৎ টানা বৃষ্টি এবং প্রচন্ড গরম আবহাওয়ার কারনে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার ১৭ জুলাই দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু বিভাগে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় ওই বিভাগের নার্সদের রুমের সামনে ভিড় জমিয়ে চিকিৎসা সেবার জন্য অপেক্ষা করছে অভিবাবকরা।

বেডে থাকা শিশু রোগীদেরকেও ঘুরে ফিরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে নার্সরা। এবং হাসপাতালের শিশু বিভাগের সবক’টি বিছানা পূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব শিশু রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানা, নিউমিনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান।

হাসপাতালের ৩য় তলায় শিশু বিভাগে নার্সদের সাথে কথা বলে জানাযায়, গত ১৫ জুলাই সারাদিনে ৪৫ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সারদিনে ভর্তি হয়েছে ৩৮ জন এবং ১৭ জুলাই বুধবার ভর্তি হয়েছে ৪৫ জন শিশু রোগী। এছাড়াও অনেক শিশু রোগীকে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে অভিবাবকরা বাড়িতে চলে যান।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আর এম ও ) ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে হঠাৎ থেকে টানা বৃষ্টি এবং রোদের তাপে প্রচন্ড গরমে শিশুরা হঠাৎ ভাইরাস জ্বর , এবং ঠান্ডা জাতীয় নিউমেনিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বমি, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।

তিনি আরো জানান, প্রচন্ড গরম এবং বৃষ্টিতে ঠান্ডা পড়ার কারনে শিশুদরে ফুসফুসে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রভাবটা বড়দের ওপর পড়ে, তবে শিশুদের বেলায় একটু বেশিই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
১৮ জুলাই ২০১৯

Share