বাড়িতে আগুন লাগলে প্রথমে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নিন। প্রথমেই ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিতে হবে। রান্নাঘরে সব সময় একটি বালতিতে বালু ভরে রাখুন। আগুনে কাজে লাগবে।
বাড়িতে রান্না ঘরের কাছাকাছি অন্য ঘরের সংযোগস্থলে ফায়ার অ্যালার্ম লাগান (স্মোক ডিটেকটর) লাগান।
আগুন লাগলে চিৎকার করে সবাইকে জানান দিন। বের হতে হতে চিৎকার করতে থাকুন ‘ আগুন আগুন’। এটা ভয়ের চিৎকার না ; সতর্কতার চিৎকার।
এ সময় কোনো মূল্যবান জিনিস সংগ্রহের চেষ্টা করবেন না, তা যত মূল্যবান ই হোক না কেন। আপনি ও আপনার পরিবারের সদস্যদের জীবনই এ সময় সর্বাপেক্ষা জরুরি। ১ সেকেন্ড সময়ও মূল্যবান।
আমরা মারা যাচ্ছি – এমন কোনো কথা বলবেন না। চেঁচামেচি করবেন না। সাহস না হারিয়ে দোয়া করবেন। পরিস্থিতি যতটা শান্ত রাখা যায় বিপদ মুক্তির সম্ভাবনা তত বেশি।
আপনার গায়ে আগুন লেগে গেলে মনে রাখবেন কোনো অবস্থায় দৌঁড়াবেন না, এমনকি সামনে পানির বালতি থাকলেও না।
থামুন, গড়িয়ে গড়িয়ে যেদিকে যেতে চান সেদিকে যান। নাক কাপড় দিয়ে ঢাকুন, হাতের কাছে পানি থাকলে কাপড় ভিজিয়ে নিন।
এরপর সিঁড়িতে গেলে যদি ধোয়া দেখতে পান তাহলে কখনো উপরে উঠবেন না। ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
ধোয়া বাতাসের থেকে হালকা- তাই তা উপরের দিকে ওঠে। সেটা ইনহেল করে আপনি প্রথমে বেহুশ হয়ে যাবেন তারপর অজ্ঞান অবস্থায় মারা যাবেন।
যদি সিঁড়ি দিয়ে নামা বিপজ্জনক হয় তবে বারান্দা, বা জানালার কাছে চলে যাবেন; এতে হাতে বেশী সময় পাবেন।
ধোয়া আচ্ছন্ন পথ পরিহার করুন। যদি বাধ্য হন ধোয়ার মধ্যে দিয়েই যেতে তবে মনে রাখবেন – উপুড় হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে চেষ্টা করবেন। ধোঁয়া উপরে ওঠে বলে নিচের বাতাসে অক্সিজেন বেশি থাকে। এতে আপনি বেহুঁশ হবার আগে বেশি সময় পাবেন।
ধোঁয়ায় কিছু দেখা না গেলে ও একাধিক সদস্য থাকলে একজনের পেছনে আরেকজন হামাগুড়ি দিবেন -একে অন্যের কাপড় বা পা ধরে।
সাহসী ও বিপদে দিশেহারা হন না এমন কেউ নেতৃত্ব নিবেন। কেউ কিছুক্ষন পরে পরে সান্তনা দেবেন – আমরা ঠিক আছি, সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ- এমনটা বলতে থাকবেন।
বার্তা কক্ষ
৩১ মার্চ,২০১৯