ফরিদগঞ্জের দিগধাইর রাস্তায় গর্ত আর কাদায় একাকার

ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর পূর্ব অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পুরানো রাস্তা হিসাবে পরিচিত মনতলা-দিগধাইর হয়ে লক্ষীপুর সড়ক। উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দু’পাশে হচ্ছে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ ও রামগঞ্জ-চাঁদপুর ওয়াবদা সড়ক।

দু’সড়কের মধ্যবর্তী গল্লাক,লক্ষ্মীপুর, দিগধাইর ও মনতলা এ চার গ্রামের একমাত্র রাস্তা। যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পাকা সড়কে উঠার জন্য কাঁচা-কাদা খানা খন্দে ভরা রাস্তাটির ওপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। উপজেলার সর্বশেষ ইউনিয়নের এক মাত্র রাস্তাটি আজও মনে হয় চোখে পড়েনি কোনো জনপ্রতিনিধির। রাস্তাটি গর্ত আর কাদায় একাকার হয়ে গেছে ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর, দিগধাইর গ্রামের মানুষ নিতান্ত প্রয়োজনে বের হতে গিয়ে কাঁচা কাদা মাটিতে চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিশেষ করে এসব গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ও চাকুরিজীবিরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে প্রতিনিয়ত কাদা-মাটিতে চলাচল করতে হচ্ছে। হাঁটতে গিয়েও পায়ের জুতা হাতে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এ পথ দিয়ে হাটার সময় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনার কবলে।

এ পথ দিয়ে চলাচলরত যাত্রী খোরশেদ আলম, শামীম মজুমদার, আ. ছাত্তার, ইলিয়াছ, সালমা বেগমের সাথে কথা হলে বলেন, উপজেলার মধ্যে যে একটি কাচা রাস্তা আছে তা মনে হয় জানে না কেউ। স্বাধীনতার পর দেশে এতে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে অথচ এ রাস্তাটির বিষয়ে যেন কারও কোনো নজর নেই।

এ পথ দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করছে। আমরা বর্তমান সাংসদ সাংবাদিক শফিকুর রহমানের দৃষ্টি কামনা করছি যেন তিনি চলতি বছরের মধ্যে এ রাস্তাটি পাকা করে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবেন।

এ রাস্তাটির বিষয়ে সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাও.শারাফত উল্ল্যা’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন,‘আমার জানামতে এ রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে তবে বাজেটের দোহাই দিয়ে ঠিকাদার কাজ ধরেনি। নতুন সাংসদ রাস্তাটির গুরুত্ব দিয়েছে আগামি বছরে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জহিরুল ইসলাম জয়
১০ জুলাই ২০১৯

Share