পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চাঁদপুরের পোষাক আর প্রসাধনীর মার্কেটগুলো প্রতিনিয়ত জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদ-উল-ফিতরের বাকী আর মাত্র কয়েকদিন। শেষ মূহূর্তে মার্কেটগুলো জমজমাট হয়ে উঠলেও ক্রেতা সাধারণ হিজড়া আর বেদ সম্প্রদায়ের দৌরাত্মে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড়। শহর ও শহরতলীর এবং আশেপাশের উপজেলা থেকে ক্রেতা সাধারণ চাঁদপুর শহরে প্রবেশ করে তারা ঈদের কেনাকাটা করছে।
আর এসব মার্কেটগুলোর সামনেই বেদ সম্প্রদায় নারী ও তরুণীরা হাতে বাক্স নিয়ে সাধারণ মানুষকে টেনে হেচড়ে টাকার জন্য নাজেহাল করে দিচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, তরুণীদেরকে আচমকাই ধরইে রাস্তার উপর ভয়ে আতকে উঠে।
বেদ সম্প্রদায়ের মেয়েরা করেশহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে রেলয়ে হকার্স মার্কেট পর্যন্ত বিচরণ করে থাকে। এ সময় তারা নারীদের পাষশাপাশি পুরুষদেরকেও টাকার জন্য নাজেহাল করে দিচ্ছে। স্কুল কলেজে পড়–য়া তরুণীদেরকে মার্কেটর সামনে ধরলে তারা ২ থেকে ৫ টাকা দিতে চাইলে ক্রেতাদের ব্যাগ থেকে তারা নিজেরাই টাকা কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মার্কেটে আসা বিভিন্ন তরুণীদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয় পর্যন্ত তারাা প্রদর্শন করছে।
এদের কারণে সাধারণ মানুষ ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা নারী ও তরুণীরাও মারাত্মকভাবে বিড়ম্বনায় পড়ে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে।
অপরদিকে হিজড়া সম্প্রদায়ের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলো ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মার্কেটগুলোতে গিয়ে দোকানীদেরকেও নাজেহাল করছে। তারা দোকানীদের কাছে ঈদ উপলক্ষে মোটাঅংকের টাকা দাবি করছে। ১০ ২০ টাকা এরা ব্যবসাযীদের অশ্লীল ভাষায় কথা বলছে এবং তাদের পরিধেয় বস্ত্র খুলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এতে করে দোকানী ও দোকানে থাকা ক্রেতা সাধারণ মারাত্মকভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। হিজড়া সম্প্রদায়ের এদের লাজলজ্জা না থাকলেও সাধারণ মানুষ এদের আচার আচরণে মারাত্মকভাবে লজ্জিত হচ্ছে। এদের রুখার জন্য কী কেউ নেই?
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
৩০ মে ২০১৯