জাতীয়

বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লন্ডনের ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যা বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শুধু তাই নয়, ওয়ানডেতেও এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৫ সালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৯ রান করেছিল টাইগাররা।

আর ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করতে নেমে ৩২২ রান করে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।

রোববার (০২ জুন) টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। দলীয় ৬০ রানের মাথায় কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে তামিমকে (১৬) ফেরান আন্দিলে ফেলুকায়ো। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্যও।

এরপরের সময়টা কেবল সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম শো হয়ে থাকলো। দু’জনে মিলে ১৪২ বলে করেছেন ১৪২ রানের জুটি। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশর সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন সাকিব। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার বিশ্বকাপ আসরে নিজেদের উদ্ধোধনী ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করলেন বিশ্বের এই সেরা অলরাউন্ডার।

সেই সঙ্গে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে ১১ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন সাকিব। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নামার আগে এই মাইলফলক থেকে ৬ রান দূরে ছিলেন তিনি।তবে অষ্টম সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না সাকিবের। ৮৪ বলে ৭৫ রান করে ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হোন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ১ ছক্কায়।

এরপরেই সাকিবের দেখানো পথে হাঁটেন মুশফিকও। ৮০ বলে ৭৮ করে মুশি ফেরেন ফেলুকায়োর বলে। মুশফিকের আগে তাহির তার দ্বিতীয় শিকার বানান মোহাম্মদ মিঠুনকে (২১)। বাংলাদেশকে তিনশ পেরোনো স্কোর এনে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মোসাদ্দেক ২৬ রানে আউট হলেও ৪৬ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১বারের মুখোমুখি দেখায় বাংলাদেশ জয়ী হয়েছে ৩ বার, ১৭ বার জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। বিশ্বকাপে ৪ বারের দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে একবার আর দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ বার। শুধু ২০০৭ বিশ্বকাপে ৬৭ রানে জিতেছিল টাইগাররা।

Share