মঙ্গলবার (২৩ মে) চাঁদপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচন্ড এ তাপদাহের কবলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গরমে নাজেহাল হওয়া মানুষ জানিয়েছেন,ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই। বাইরে বের হলে মনে হয়েছে রাস্তা থেকে ওঠা গরম তাপে যেন শরীর পুড়ছে।
চারিদিকে যেন তাপের হাওয়া বইছে। ঘরে ফ্যানের বাতাসও গরম অনুভূত হয়েছে। শরীর ঘার্মাক্ত হচ্ছে। বিকেলের পর থেকে হালকা বাতাস হলেও তাপমাত্রা কমেনি। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় বেশি চাঁদপুরে গরম অনুভূত হচ্ছে। তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হয়নি।
শহরের ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মিশলা ইয়াসমিন মুনিয়া নামে এক নারী জানান,এ গরমে পথচলা বড় দায়। নিজেদের কিছু কেনাকাটা করতে হকার্স মার্কেটে এসছি। চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার। প্রচন্ড এ গরমে ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই।
শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা এক যুবক জানান,মসজিদে এসি চলছে তারপরেও যেন গরম বাতাস গা ছুঁয়ে যাচ্ছে। দাপদাহের কারণে রোজাদাররা রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠছেন। সামান্য শান্তির জন্য মানুষ ছায়া ও শীতল পরিবেশ খুঁজছেন।
সুলতান ও গফুর আলী নামে দু’রিকশা চালক বলেন, ‘গরমে মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। বৃষ্টি হলে মানুষ শান্তি পেতো। এতো গরমে কাজ কর্ম করা যেন অসম্ভব মনে হচ্ছে। তারপরেও অভাবের সংসার। আবার সামনে ঈদ। তাই বাধ্য হয়ে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।’
চাঁদপুর আবহাওয়া কর্মকর্তা শাহ্ মুহাম্মদ শোয়েব জানান,এখন গরমের মৌসুম। হঠাৎ করে দমকা হাওয়া অথবা বৃষ্টি হয়ে থেমে যেতে পারে। কিন্তু গরমের তাপ আগের মতো থাকবে। তাছাড়াও লঘুচাপ চলছে। যত গরম পড়বে তত লঘুচাপ নিম¥চাপে পরিণত হবে।
পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল হয়ে বঙ্গবসাগর বিস্তৃত হয়ে নিম্ম চাপে পরিণত হতে পারে। মে মাসের শেষ দিকে ২৮ মে থেকে-৩ জুনের মধ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় বায়ু ’র সম্ভবনা রয়েছে। সে সময় বৃষ্টি থেকে মাঝারি ধরনের ঝড় হতে পারে।
তিনি আরো জানান,মঙ্গলবার চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা ছিলো ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রাতা ২৪ ঘন্টায় ছিলো ৫৮ দশমিক ৮৫ কেটি এস। প্রতি ঘন্টায় সূর্যকিণের তাপ ছিলো ৭ দশমিক ৩৫। জলীয় বাষ্প ২৪ ঘন্টায় ছিলো ৬ দশমিক ৮২ মিলি মিটার।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ মে ২০১৯