ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে যুবক পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা : পরস্পরবিরোধী বক্তব্য

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শালিসকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে হানিফ হত্যাার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে তার বোন। এরইমধ্যে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ আরিফ তপাদার ও মামুন তপাদার নামে দু’জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপরে উপজেলার মূলপাড়া গ্রামের তপাদার বাড়িতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ তপাদার লোকমান তপাদারের দ্বিতীয় ছেলে।

শুক্রবার হানিফের বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে করে চাঁদপুর টাইমস। হত্যার বিবরণে হানিফের মা খাদিজা বেগম ও বাবা লোকমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমার ছেলেকে ওরা ঘর থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বেদম মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় । তাৎক্ষণিক তাকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরিস্থিতি আশংকাজনক দেখে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিলে চাঁদপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় হানিফ ।

অপরদিকে আসামী পক্ষ আরিফের বাবা আয়ূব আলী বলেন, ৪ দিন আগে নিহত হানিফ তার এক অসহায় ও বৃদ্ধ চাচা ছলেমান (৫০) কে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আশংকাজন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। চাচা ছলেমানকে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফকে পিটিয়েছে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ডা.মিজানুর রহমান জানান, নিহত হানিফের মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাছিরউদ্দিন জানান, ১৩ জনকে আসামী করে শুক্রবার (৫ জুলাই) থানায় মামলা করেছে নিহতের বোন। দুজনকে আটক করা হয়েছে বাকী আসামীদেও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে থানা ওসি আব্দুর রকিব জানান, নথানা পুলিশ আরিফ ও মামুনকে আটক করেছে। থানায় নিহত হানিফের বোন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। বাকি আসামীদেরও আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদক : শিমূল হাছান
৫ জুলাই ২০১৯

Share