ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, সৌদি আরবের বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অপেক্ষার সময় ও কষ্ট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সেদেশের পরিবর্তে বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। আশা করি এবারই এটি কার্যকর করতে পারব
রোববার(২৪ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে তাদের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে হজযাত্রীদের বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্দেশে সৌদি আরবের একটি কারিগরি দল গত ২১ মার্চ বাংলাদেশে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
আগামী ৬ এপ্রিল আরও একটি উচ্চতর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। আশা করছি, এবারই বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।’
হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমাতে সক্ষম হয়েছেন দাবি করে শেখ আবদুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরকালে বাংলাদেশে বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে প্রাপ্য আরও ২০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বাড়ানোর বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি রয়েল কেবিনেটে উপস্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি হজমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর হজের সময় মিনায় অবস্থানকালে বাংলাদেশি হাজযাত্রীদের দ্বিতল খাট ব্যবহারে বাধ্য না করা, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫০ থেকে ১০০তে নামিয়ে আনা এবং পবিত্র হজের সময় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য মক্কা, মিনা, আরাফা, মুযদালেফা তথা মাশায়েরে মোকাদ্দসায় যাতায়াতের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ও উন্নত বাস সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছি।
এর প্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রায় সবগুলো দাবিই পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সরকারি হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করার উদ্দেশে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গত ৬ মার্চ সৌদি আরব সফর করেন। হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখন সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে, শেষ হবে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত। ইতিমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৫৭ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। কোটা অবশিষ্ট রয়েছে ৭৫৯ জনের। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে ৭৫ হাজার ৫২ জন এবং কোটা অবশিষ্ট রয়েছে ৪১ হাজার ৬৯৪ জনের।