চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চলতি অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার আশ্রায়ণ প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়মের খবর পাওয়া যায়। যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে এমন ব্যক্তিদের জন্য গৃহ নির্মানের কথা থাকলেও স্থানীয় পর্যায় এক নামের ঘর অর্থের বিনিময়ে অন্যের ভিটায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের ঠিকাদার এসব অর্থের ভাগে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ঘর নির্মানের খুটি, টয়লেটের চাকাসহ বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী নি¤œ মানের বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর এসব অনিয়ম যার দেখার কথা বিভিন্ন উদাসীনতায় নিরবে চলে আসছে ঘর নির্মানের ব্যাপক অনিয়ম।
সরেজমিনে ১১ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পাচৈই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় বাস্তবতার একটি চিত্র। প্রকল্প আসার পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনির হোসেন যে যে গৃহহীন পরিবারের নাম তালিকায় দিয়েছেন কাজ চলমান অবস্থায় তার বাস্তবতা দেখা যায়নি। পাচৈই মোল্লা বাড়ীর মৃত কামাল হোসেনের স্ত্রী বায়েজা খাতুনের নামের ঘর তৈরি হয় একই গ্রামের তফদার বাড়ী ফারুক হোসেনের ভিটা মাটিতে।
ফারুক হোসেনের স্ত্রী আফছানা বেগম বলেন, বায়েজা খাতুনের জায়গা না থাকায় তার পরামর্শে এখানে ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু প্রকৃত ঘরের মালিক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা যায়।
অভিযোগের আলোকে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেনের কাছে অনিয়মের বিষয়ে বসার পর বর্তমান স্থান থেকে ঘর তৃতীয় কোন গৃহহীন পরিবারের স্থানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময় এক জনের ঘর অন্যের ভিটা মাটিতে নির্মান করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি ঘর নির্মানের সময় ছিলাম না, এটা প্রকল্পের ঠিকাদারসহ উপজেলা দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষটি আমলে নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে অন্যান্য পশ্নের উত্তর জানার পূর্বেই তিনি ফোন কেটে দেন।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ১১ অক্টোবর ২০১৯