হাজীগঞ্জে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর মামলায় ইউপি সদস্যসহ আটক ৩

হাজীগঞ্জে ৪ যুবক মিলে একের পর এক এতিম কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কিশোরী থানায় মামলা দায়ের করলে শুক্রবার (১০ মে) অভিযুক্ত দু’ ধর্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে অভিযুক্ত ৪ ধর্ষকের একজনের সঙ্গে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করেছে গ্রামের মাতব্বরা। এজন্য ওই ৪ ধর্ষকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করেছেন তারা।

এ জরিমানার টাকা দিয়ে শনিবার (১১ মে) বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অভিযুক্ত চার ধর্ষকের মধ্যে পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হবে ওই কিশোরীর। আর এমন চাঞ্চলকর ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ি।

জানা যায়, দরিদ্র এক ভিখারির ১৭ বছর বয়সী কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি ধরা পড়ে। কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একই বাড়ির ৪ যুবকের নাম। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের মাতব্বররা।

তারা অভিযুক্ত ৪ যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা রাখেন। সেই টাকা দিয়ে শনিবার (১১ মে) কিশোরীর পছন্দমতো পাত্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করেছেন মাতব্বরা।

অভিযুক্ত ওই ৪ ধর্ষক হচ্ছেন একই বাড়ির ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২),রফিকের ছেলে ইমরান (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০)। এর মধ্যে শুক্রবার আটক হয়েছেন ধর্ষক ইমরান হোসেন (২১), আরফিন (২০) ও ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম।

এলাকার মাতব্বর মো. মোস্তফা কামাল জানান,এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা এলাকায় সালিশ করেছি। অভিযুক্ত ৪ যুবককে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু বলেন ,‘আমি ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জেনেছি। বিস্তারিত কিছু পরে আর জানতে পারিনি।’

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন বলেন ,‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কিশোরী মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এরই মধ্যে আমরা তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি, বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। ’

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
১১ মে ২০১৯

Share