চাঁদপুর হাজীগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে দুটি গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে পুরো মার্কেটসহ গোডাউনের ভিতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মার্কেটের মালিকপক্ষ ও ভাড়াটিয়ারা।
সোমবার(৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়েকর পাশে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামে আলমদিনা আয়রন ষ্টোর ও মেসাস আব্দুল কাদের গাজীর ভাঙ্গারীর দোকানঘর ও গোডাউনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীরা জানায়, রাত ৩টার দিকে আলমদিনা আয়রন ষ্টোর ও মেসাস আব্দুল কাদের গাজীর ভাঙ্গারী দোকানঘর ও গোডাউনে আগুনের লেলিহান দেখে এবং পোড়াগন্ধে মানুষের ঘুম ভাঙ্গে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করে।
পরে তাদের সাথে যোগ দেয় শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে গোডাউনের ভিতরে থাকা সমস্ত মামলাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত আলমদিনা আয়রন ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী ইমান হোসেন জানান, আনুমানিক ১০-১২ লাখ টাকার মালামাল এবং তার গোডাউনে থাকা আউয়াল নামের এক ব্যবসায়ীর প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্যারেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত অপর ব্যবসায়ী মেসাস আব্দুল কাদের গাজী স্টোরের সত্ত্বাধিকারী আবদুল কাদের গাজী জানান, তার গোডাউনে থাকা প্রায় ১২-১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এ সময় তিনজন ব্যবসায়ী ক্ষতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদে উঠেন।
এদিকে মার্কেটের মালিক টোরাগড় গ্রামের মৃত আ.ছাত্তারের তিন ছেলে কাজী মনির, কাজী জামাল ও কাজী কামাল হোসেন বলেন, আমাদের সাথে পূর্ব বিরোধ রয়েছে মালেক ফার্নিচার, মান্নান ফার্নিচার, তৈয়ব আলী ও আজাদ সরকারের সাথে। ইতিপূর্বে তারা এ ধরনের হুমকি দিয়েছে। আমাদের এ মার্কেটেই হচ্ছে তিন ভাইয়ের একমাত্র সম্পদ। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি যেন বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল গনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়
৩০ এপ্রিল ২০১৯