Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বর কনেকে নিয়ে উধাও
premik

মতলবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বর কনেকে নিয়ে উধাও

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬ নং দক্ষিণ উপাধি ইউনিয়নের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ হলেও বর কনে কে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহিদুল ইসলাম এর নির্দেশে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেয়।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে স্কুল ছাত্রীর মা ও বাবা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছেলের সাথে বোরকা পরিয়ে মেয়েকে চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেয়। পরে চাঁদপুরে এসে ছেলে স্কুল ছাত্রীকে বাল্য বিবাহ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই বাল্যবিবাহের ঘটনায় ৬ নং দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মাস্টার বাজার সংলগ্ন ঘোড়াগাড়ি এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জানা যায়,ঘোড়া দাড়ি গ্রামের হাওলাদার বাড়ি শফিক মিজির মেয়ে সুমাইয়া আক্তার পিংরা বাজার হযরত শাহাজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলের জেএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী সুমাইয়া আক্তার ২০০৪ সালের ২৯শে মে মাসে জন্ম। তার বয়স ১৪ বছর ৯ মাস।

কিন্তু তার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হওয়ার পূর্বে তার মা ফাতেমা বেগম দক্ষিণ উপাধি ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের মিজানুর রহমানকে টাকাবিনিময় ম্যানেজ করে জন্ম তারিখ বাড়িয়ে একটি জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে। সেই জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ দেওয়ার পাঁয়তারা করে।

স্থানীয় এলাকার সচেতন মানুষ বাধা দিলে তাদের সাথে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে নিবার্হী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু চেয়ারম্যান তার দায়িত্ব অবহেলার কারণে পরবর্তীতে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেয়। ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ফজলুর রহমানের সহযোগিতায় মেয়ের মা ও বাবা বর পক্ষের লোকজন আপ্যায়ন করে মেয়েকে বোরকা পড়িয়ে ছেলের সাথে তুলে দিয়ে চাঁদপুর পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা আইন অমান্য করে যদি পুনরায় বাল্য বিবাহ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

করেসপন্ডেট
১ মার্চ,২০১৯