Home / সারাদেশ / বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী
Dipu Moni
ডা. দীপু মনি (ফাইল ছবি)

বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পদ্ধতিতেও সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি। তিনি বলেন,‘শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার জন্য গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে সরকার। শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নয়,বিশ্ববিদ্যালয়েও গ্রেডিং পদ্ধতির সংস্কার করা হবে।’

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর ) মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রেড পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি ।

শিক্ষামন্ত্রী জানান,‘ চলতি বছর নতুন জিপিএ পদ্ধতি আসছে না। তবে নতুন পদ্ধনি নিয়ে কাজ ও আলোচনা দু’টিই চলছে। আগামি বছর থেকে কোন পাবলিক পরীক্ষায় এটি প্রয়োগ করে দেখা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করতে কাজ চলছে। এ পদ্ধতি বিদেশি। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে সংস্কার করতে হবে। আমাদের দেশে এটি চালু হলেও নিয়মিত আপডেট হয়নি। সুতরাং ভালো একটি পরিবর্তন আনতে সময় লাগবে। এ বছর আর এটি চালু করা যাবে না। আগামি বছর থেকে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে নয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হবে। এখন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের গ্রেডিং পদ্ধতি আপডেট করলেও অনেকে করেনি। তাই পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে সরকার।’

বর্তমানে দেশে পাবলিক পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশে সব ধরনের ফলই প্রকাশ করা হয় সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে। ফলে এসএসসি আর এইচএসসির ফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারাই মহাসমস্যায় পড়েন।

সূত্র জানায়,বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতি চালু হয়। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৫,লেটার গ্রেড এ প্লাস। এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড। বর্তমানে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে সব বিষয়ে ৮০-এর ওপরে নম্বর পেলে সিজিপিএ ৪ ও লেটার গ্রেড হয়‘এ প্লাস’।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.সোহরাব হোসেন,মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো.সৈয়দ গোলাম ফারুক, শিক্ষাবিদ,মাদরাসা অধিদফতরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমেদ,ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক. মু.জিয়াউল হক, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রমুখ।

বার্তা কক্ষ
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
এজি