কচুয়া

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় তুহিন ও সুজন

শত অভাবকে পেছনে ফেলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চাঁদপুরের কচুয়ার তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে (গোল্ডেন)জিপিএ-৫ পেয়েছে বাবা হারা ছেলে মো.সায়্যিদ মাহমুদ তুহিন।

ইতোপূর্বে সে প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায়ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছে তুহিন। অর্থের অভােেব ভালা কলেজে ভর্তি করাতে পারবে কিনা এই হতাশায় তার মা।

তার বাবা মো. ইলিয়াছ মোল্লা ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল মৃত্যু বরন করেন। তার মা মোসা. মাকসুদা আক্তার তার অবুঝ ২ছেলে সায়্যিদ মাহমুদ তুহিন ও মুরাদ মাহমুদ তপু’র ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে নিজের সখ বিসর্জন দিয়ে ছেলেদের উচ্চ শিক্ষার আশায় সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। নানার বাড়ীতে থেকে মামা ও খালাদের সহায়তায় লেখাপড়া করে যাচ্ছে মেধাবী ছাত্র মো. সায়্যিদ মাহমুদ তুহিন।

মেধাবী ছাত্র মো. সায়্যিদ মাহমুদ তুহিন ভবিষ্যতে উচ্চ গ্রহনের পাশাপাশি একজন ডাক্তার হয়ে দেশের সাধারন মানুষের সেবা করতে চায়।

অপরদিকে চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল গ্রামের দিনমজুর আব্দুল মালেক ও মা শেফালী বেগমের ছেলে সুজন মিয়া পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জম্ম থেকেই দেখে আসছে সংসারের অভাব অনটন। সুজনের ইচ্ছা উচ্চ শিক্ষায় অর্জন করেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। জীবনের শুরুতেই সীমাহীন দরিদ্রতার কষাঘাতে আর নানা অসঙ্গতির সঙ্গে নিত্য লড়াই যেন তার নিয়তি। তবে বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে নিরন্তন সংগ্রাম করেও জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হয় তাকে। ভালো ফলাফলে দু’চোখ ভরা উচ্ছ্বাস থাকলেও উচ্চ শিক্ষার ব্যয় কিভাবে মিটবে সে দুশ্চিন্তা তাড়া করে ফিরছে তার।

কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার আর্থিক সঙ্গতি নেই সুজনের। তবে কি সুজনের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে? কিন্তু দরিদ্রের কষাঘাতে এই স্বপ্নগুলো পূরন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে ভাবছে সুজনের পরিবার।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু
১৯ মে ২০১৯

Share