বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা ৫ % সুদে ঋণসুবিধা দিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৪ ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীরা চাকরির গ্রেড অনুযায়ী ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। প্রচলিত বাজার দরে সুদের হারের সঙ্গে সমতার জন্য ৫ % অবশিষ্ট সুদ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে চার ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা এ স্মারকে সই করেন। আর সরকারের পক্ষ থেকে সই করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-ভারপ্রাপ্ত অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো.আসাদুল ইসলাম। এ সময় জানানো হয়, আগামি ১ অক্টোবর থেকেই ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে।
সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেতন-ভাতা তোলার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা আগে ঋণের আবেদন করতে পারবেন। সব সরকারি কর্মচারীকে এ ঋণের আওতায় আনতে দু’ বছর সময় লেগে যেতে পারে জানিয়েছেন অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার।
৩০ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে অর্থ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি কর্মচারীরা এ ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন।
এক্ষেত্রে ৫৬ বছর বয়সী কর্মচারীরাও আবেদন করতে পারবেন। ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় ২০ বছর।
বার্তা কক্ষ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার
এজি