চাঁদপুরে রাতের আঁধারে নদীপথে দীর্ঘদিন ধরে জাহাজ থেকে চোরাই তৈলের কারবারি করে আসছে একটি চক্র। চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে ঢাকাগামী সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন তেল বহনকারী জাহাজ মেঘনা নদীর চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা অংশ অতিক্রমের সময় নির্দিষ্ট পয়েন্টে অবস্থান করে।
এ সময় প্রকাশ্যেই জাহাজের লোকজন অবৈধভাবে ভোজ্য ও জ্বালানী তেলসহ অন্যান্য চোরাই সামগ্রী কমমূল্যে চোরকারবারীদের কাছে বিক্রি করে। এসব চোরাই জ্বালানি তেলের মধ্যে রয়েছে ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন, অকেটন ইত্যাদি।
স্থানীয় এলাকার বেশ ক,জন এ চোরাকারির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এমন চোরাকারবির সময় গত ১৭ জুলাই রাত ২ টায় সুরেরশ্বর এলাকায় নদীপথে
চোরাই তৈল ক্রয়কৃত একটি ট্রলার লুটের ঘটনা ঘটেছে।
কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে দীর্ঘদিন চাঁদপুরের মেঘনা নদী পথে জাহাজ থেকে চোরাই তৈল ক্রয় করে আসছেন। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই বুধবার গভীর রাতে মেঘনা নদীর আনন্দ বাজারের কাছাকাছি, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এম ভি সুপার ম্যাক্স নামের একটি জাহাজ থেকে ইউসুফ আলী বেপারী চোরাই তেল সংগ্রহ করেন। আর তার কাছ থেকে ওই চোরাই তৈল ক্রয় করেন, ফজল প্রধানীয়া, মোঃ আলমগীর, পুরান বাজারের আলী হোনেন, তাদের সোর্স কামরুল, ও যমুনা রোডের আলী।
তাদের ক্রয়কৃত চোরাই তৈল নিয়ে ট্রলার যোগে সুরেরস্বর যাওয়ার পথে ডাকাতের ধাওয়া খেলে, এক পর্যায় ট্রলার ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারে থাকা চোরাই তৈল লুট হয়ে যায়। ট্রলারিটি চোরাই তৈলভর্তি হওয়ায় ভুক্তভোগীরা বিষয়টি থানা পুলিশকেও জানাতে পারছে না।
এ বিষয়ে চোরাই তৈল জাহাজ থেকে নামানোর দায়িত্বে থাকা ইউসুফ আলী বেপারীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জনানা ‘ট্রলার লুট পাটের বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে আপনাকে (প্রতিবেদক) কিছু বলতে পারবো ‘
তবে স্থানীয়রা বলছেন পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এ চোরাচালান। এ চক্রের অনেকেরই রয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয়-পশ্রয়। তারা চাঁদপুরে নদীপথে চোরাই কারবার বন্ধে ঊর্ধতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন।
(নিরাপত্তাজনিত কারণে তথ্যদাতাদের নাম ছাড়া বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে) সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১৯ জুলাই ২০১৯