মসলা জাতীয় খুব সুু-স্বাদু ফল। বৈজ্ঞানিক নাম Prunus domestica। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা। এছাড়া মুখের রুচি বাড়াতে অনেকে শুধু ফলটি খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত;যেমন ইংরেজিতে প্লাম, গেজ,গার্ডেন প্লাম, প্রুন,প্রুন প্লাম।
বাংলাদেশ ও ভারতে আলুবোখারা নামে ডাকা হয়। এর ফুল আপেল ফুলেরই মতো। ফেব্রুয়ারি মাসে এ ফুল আসে, জুন মাসে ফল পাকে। এটি রোজেসি পরিবারের গাছ, চেরি ফুলের নিকটাত্মীয়। প্রাক-বসন্তে নিষ্পত্র গাছে সাদা রঙের অসংখ্য ফুল ফোটে।
আয়তাকার পাঁচ পাপড়ির ফুলগুলোর মাঝখানে থাকে এক থোকা পরাগকেশর। পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত গাছের এই সৌন্দর্যও মনোহর। কিন্তু যেহেতু গাছটি ফলের, সেহেতু ফুলের এই সৌন্দর্য আমাদের খুব একটা আগ্রহী করে না। আমরা বরং অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি, কখন আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত ফল।
ঢাকার ফলের দোকানগুলোতে কদাচিত্ পাকা আলুবোখারার দেখা মেলে। দেখতে পছন্দ না হলেও যে স্বাদ ভালো হতে পারে তার উত্কৃষ্ট উদাহরণ আলুবোখারা। ড্রাই ফ্রুটস বলতে সবাই বেছে নিতে চান কিশমিশ, অ্যাপ্রিকট, ফিগস ইত্যাদি। এখানে আলুবোখারা বেশ অবহেলিত। আলুবোখারা হলো শুকনা পাম ফল।
ক্যালরির মাত্রা এতে বেশ কম, তাই যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন—তাদের জন্য এটি কোনো সমস্যার কারণ হবে না। এতে প্রোটিনের মাত্রাও কম, তবে ভোজ্য আঁশের মাত্রা বেশি। প্রতি ১৫ গ্রামে আছে এক গ্রাম আঁশ। তাই ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর আলুবোখারা।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে খুব বেশি হলে তিন থেকে চারটি মাঝারি আকারের আলুবোখারা খেতে পারবেন। আর তাতেই এই শুকনা ফল থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে। ফলটি আসে প্রতিবেশী দেশ থেকে। তবে শুকনো ফল সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। বাংলাদেশেও বর্তমানে আলুবোখারার চাষ হচ্ছে।
বার্তা কক্ষ, ৫ অক্টোবর ২০১৯