শাহরাস্তি

শাহরাস্তিতে ভুয়া ডাক্তারের হাতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

পাস না করেই সিজার করেন ভুয়া চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম। কুমিল্লা থেকে ট্রেনিং করেই তিনি দেদারছে প্রসূতির দেহে অস্ত্র চালাচ্ছেন। শনিবার (১ জুন) রাতে চাদঁপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুর বাজার পপুলার হাসপাতালে তার ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু ঘটে।

ওই গৃহবধূ শাহরাস্তি পৌর এলাকার সেনগাঁও টুকুর বাপের বাড়ির আবদুল বারেকের পুত্র মোঃ হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫)।

গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যু খবর এলাকায় পৌঁছলে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল ভাংচুর করার চেস্টা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা নেয়।

গত ৩১ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রসব ব্যথা উঠে। পরে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই রাত ১২ টায় সিজারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় ফেরদৌস। ওই থেকে প্রসুতির ক্ষরণকৃত রক্ত বন্ধ না হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে রাত ১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররণ করেন। ভোর ৪ টায় ঢামেক’এ ভর্তি করা হলে ১ জুন বিকেল সাড়ে ৪ টায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায় ওই প্রসুতি।

নিহত ফেরদৌসের স্বামী মোহাম্মদ হোসেন জানান, তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং ডাঃ আরিফুল ইসলাম ও ডাঃ নাজমুন নাহার মিতু সিজার করান। এতে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তবে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে ডাঃ আরিফুল ইসলাম ও ডাঃ নাজমুন নাহার মিতু মোহাম্মদ হোসেনকে
রক্তক্ষরণ বন্ধে ফেরদৌসের জরায়ু অপারেশনের কথা জানান। পরে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর নিয়ে জরায়ু অপারেশন করা হয়। তার দাবি চিকিৎসকদের ভুল সিদ্ধান্তে রোগীর মৃত্যু ঘটেছে।

ডাঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, রোগি আসার পর প্রয়োজনীয় সকল পরিক্ষায় “প্লাসেন্টা প্রিভিয়া” রোগ ধরা পড়ে। তখন তার অভিভাকদের জানালে তারা অঙ্গিকার নামা ফরম পূরণ করে সিজার করার অনুমতি প্রদান করেন। সফল অপারেশনের পর শুরু হয় রক্ত ক্ষরণ। রোগির অভিভাবকদের জানালে তারা রক্তের ব্যবস্থা করেন। এক পর্যায়ে রোগির অবস্থা খারাপ হলে তাদের সাথে পরামর্শ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এনেছি। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হচ্ছে।’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০১৯

Share