চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে নিজ স্ত্রীকে তালাকের পায়তারা করছেন লম্পট আব্দুল ছাত্তার। অনেক মেয়ের সম্ভ্রম হরনকারী লম্পট ছাত্তারের বন্ধীশালায় এখন দুই নারীর জীবন বিপন্নের পথে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের শফিক মেম্বারের ছেলে আ. ছাত্তার (৩৩) হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কূল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী জ্বলেখা’কে গত এক বছর পূর্বে নানা কৌশলে ফান্দে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। তখন প্রবাসীর ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নেয়, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আর প্রবাসীর পরিবার তাদের বউকে প্রতারক আ. ছাত্তারের কাছ খেকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আ. ছাত্তারের প্রথম স্ত্রী সাবেরা আক্তার পড়শী বিষয়টি নিরবে মেনে নেয়। বর্তমানে ছাত্তার প্রথম বউকে জোরপূর্বক বিদায় দেওয়ার পায়তারা করছে। প্রথম স্ত্রী’র বাপের বাড়ী সিলেট হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। স্থানী ইউপি সদস্য মিন্টু মিলে সিদ্ধান্ত হয় কিছু টাকা নিয়ে তার তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ীতে চলে যেতে। প্রথম স্ত্রী’র বাপের বাড়ীর অবস্থা নাজুক দেখে মারধর খেয়েও স্বামীর ঘর ছাড়তে নারাজ অসহায় পড়শি।
এদিকে হাজীগঞ্জের প্রবাসীর স্ত্রী জ্বলেখার সাথেও খারাপ আচরন দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু জ্বলেখার বাবা একই গ্রামের হাসিম ড্রাইভার মেয়ের অত্যাচারের কথা শুনে বিচার চেয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। কারন আ. ছাত্তার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা।
বর্তমানে দুই নারী স্বামী আ. ছাত্তারের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সৃ-দৃষ্টি কামনা করছেন। এদিকে আ. ছাত্তারের বক্তব্যে নিতে চাইলে সে একান্ত ব্যক্তিগত বেপার বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯