ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামি শনিবার (৪ মে) আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। আর ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে যে পথে অগ্রসর হচ্ছে, তাতে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানবে। এরপর খানিকটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা উপকূল দিয়ে প্রবেশ করে রংপুর-দিনাজপুরের দিকে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের চারটি নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (১ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় তিনি বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী ফণী ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ফণীর অবস্থান ছিল বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে। সোমবার ছিল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,০৯০ কিলোমিটার এবং চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে।
বলা হচ্ছে ফণীর প্রভাবে দক্ষিণ ভারত, ওডিশা ও বাংলাদেশে ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশের তরফেই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ফণী’। ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এ পরিণত হচ্ছে ঝড়টি। ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। (বিডি২৪লাইভ)
আবহাওয়া ডেস্ক
২ মে ২০১৯