ফরিদগঞ্জ

সেলাই করতে করতেই না ফেরার দেশে ফরিদগঞ্জের শামছুল

ঢাকার চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে আল মদিনা ডেকোরেটর মালিক চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার রুদ্রগাও গ্রামের শামছুল হক বেপারী (৫৬)। বুধবার রাতে বিয়ের একটি অনুষ্ঠানের জন্য কাপড় প্রস্তুত করছিলেন তার দুই সেলাই মেশিনম্যান (স্থানীয় ভাষায় খলিফা) নিয়ে।

কিন্তু হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শামছুল হকসহ অজ্ঞাত দুজন পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ওই দোকান থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।

শামছুল হক বেপারী দীর্ঘদিনের সহচর কিরণ পাটওয়ারী জানান, মাঝে কয়েক বছর বিরতি দিয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে ডেকোরেটরের ব্যবসা করছেন শামছুল হক। ১ ছেলে ২ মেয়ের জনক শামছুল হক ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের রুদ্রগ্রাও গ্রামের আলিমুদ্দিন বেপারী বাড়ির মৃত চান মিয়া বেপারীর ছেলে।

স্থানীয় আহসান হাবিবসহ বেশ কয়েকজন জানান, স্বজ্জন শামছুল হক রুদ্রগাও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে সর্বদা দান অনুদান প্রদান করতেন। কিন্তু গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও পরবর্তী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলেন তিনি।

এদিকে শামছুল হক বেপারীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে শামছুল হক বেপারীর লাশ তার ছেলে মাহবুব ও তার ভাতিজা কবির শনাক্ত এবং লাশ গ্রহণ করেছে বলে কিরণ পাটওয়ারী নিশ্চিত করেছেন।

বার্তা কক্ষ
২৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৯

Share