Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে শিলা বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
vegitable

ফরিদগঞ্জে শিলা বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভ বেশি হওয়ায় সবজি চাষে ঝুঁকেছিলেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাধারন কৃষকরা। সরকারি প্রণোদনা ও সহযোগিতায় প্রতি বছরই বাড়ছিল সবজি চাষ।

এ বছর ফাল্গুনের শেষে গত দুই দিনের শিলাবৃষ্টিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক চাষি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করেছিলেন। শিলাবৃষ্টিতে সব সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন চাষিদের মাথায় হাত ওঠার উপক্রম হয়েছে।

চলতি মৌসুমে এই উপজেলার শুধু ১৬ নং রুপসা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মোট ১০ একর জমিতে সবজি চাষ করা হয়। দিন দিন ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর কমতে থাকায় কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের কম পানিতে রবিশষ্য চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হতো।

এছাড়া কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হতো। ফরিদগঞ্জ উপজেলার এই এলাকাটি নিচু হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। ধানের চেয়ে সবজির চাষ লাভজনক। ফলে যে কোন সময়ে স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে সবজি চাষ করে আসছিলেন চাষিরা।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমস্ত ফসল ও ফসলের গাছ ঝড়ে মাটিতে পড়ে গেছে।

নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের মধ্যে রয়েছে টমেটো শীম সসিন্দা করলা বরবটি শসা।যা আগামি রমজান উপলক্ষে বাজার জাত করা হতো।নষ্ট হওয়া সবজি ক্ষেত থেকে জ্বালানি ছাড়া আর কিছু পাওয়ার আশা নেই।

শিলাবৃষ্টির কারণে প্রতি একর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রান্তিক সবজি চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা কামনা করছেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং রুপসা ইউনিয়নের কাওনিয়া গ্রামের সবজি চাষী অজি উল্যাহ বলেন,‘এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দুই একর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছিলাম। শিলাবৃষ্টি আর ঝড়ে ক্ষেতের সব ধরনের সবজি গাছ ও ফসল নষ্ট গেছে। এখন ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবো কিভাবে?’

একই গ্রামের চাষি আমিন উল্লাহ বলেন,‘সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে পড়বে বর্গাচাষিরা। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহায়তা না করলে পথে বসতে হবে।’

এব্যাপারে ১৬নং রুপসা ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে উপস্থিত না পাওয়ায় যোগাযোগ করতে পারা যায় নাই।

করেসপন্ডেট
১৮মার্চ,২০১৯