চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এক পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৬ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার দেইচর গ্রামের লধের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার ও সাবেক সেনা সদস্য মুক্তিযুদ্ধা মরহুম আব্দুল কাদেরের মেয়ে রহিমা বেগম (৩২) রহিমার ছেলে মেহেরাজ (১৫), শাহাদাত (৩০) এবং শাহাদাতের স্ত্রী লিপি বেগম (২৩)।
এদের মধ্যে অন্যারা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেলেও রহিমা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সে গত তিন দিন ধরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ৩য় তলায় মুক্তিযুদ্ধা কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা জানায়, তাদের বাড়িতে থাকা একটি যৌথ পুকুরে চাষকৃত মাছ বিক্রির টাকা এনে বাড়ির এক মুরব্বি আহত রহিমা বেগমের কাছে জমা রাখেন, পারিবারিক কবরস্থান তৈরি করার কাজে খরচ করবে বলে।
এরই সূত্র ধরে একই বাড়ির কলিমুল্লাহ বেপারীর ছেলে মোবারক বেপারী ঘটনার দিন সকালে রহিমাকে গিয়ে বলেন, তুই নারী মানুষ তোর কাছে কেনো টাকা জমা থাকবে। বাড়িতে আমরা পুরুষ মানুষ ছিলাম। সে টাকা তার কাছে দেয়ার কথা বলে রহিমার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন মোবারক।
ঝগড়ার এক পর্যায় মোবারক বেপারী, ও তার ভাই মিজান, জলিল এবং বজু বেপারী মিলে তাদের সবার ওপর অর্তকিত হামলা চালায় বলে আহতরা অভিযোগ করেন।
তারা আরো জানায়, ঘটনার ২০/২৫ দিন পূর্বে মোবারক বেপারী তাদের একটি খাসি ছাগল বিষ পান করিয়ে মেরে ফেলে। এ নিয়েও তাদের মধ্যে পূর্বে ঝগড়া হয়েছিলো। তাদের অভিযোগ তারই সূত্র ধরে মোবারক ও তার পরিবারের লোকজন তাদেন ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
এদিকে তাদের হামলা তারা রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে রহিমার স্বামী খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোবারক বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, টাকার বিষয়ে তাদের সাথে মারামারি হয়নি। আমি রহিমাকে বলেছি আমাকে একটি সার্ট কিনে দিতে, সে বিষয় নিয়েই তাদের সাথে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। খাসি মেরে ফেলার বিষয়টি মিথ্যা, কারন আমি আমার ক্ষেতে ইন্ডিন দিয়েছি, তখন তাদের ছাগল আমার
জমির সীমানায় ঢুকে ইন্ডিন দেয়া জমিনের ঘাস খেয়ে মারা যায়। তারা আমাকেও মেরেছে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি
১৮ মার্চ,২০১৯