চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঘূণিঝড়ে চাঁদপুরের ৫টি উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চাঁদপুর সদরে রাজরাজেস্বর ইউনিয়ন ও মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চল। এ ছাড়া কৃষকের ফসল ক্ষতি ও ঘর বাড়ি ব্যাপক বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঘূর্নিঝড়ের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনরা এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জানিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্থদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আস্বাস প্রধান করছে।
সরজমিনে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর সদরের রাজরাজস্বরে ঘূর্নিঝড়ে সম্পন্ন বিধ্বস্থ হয়েছে ১শ’ বসতঘর । এ ছাড়া বহু রান্নাঘর ঘোয়ালঘর, কাচারিঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শত শত গাছপালা উপড়ে গেছে। সোলার বিদ্যুতের লাইন ও খুটিগুলো ভেঙ্গে গেছে। এক কথায় সবই যেন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কোথায় কোথায় ক্ষতিগ্রস্থরা নিজস্ব অর্থায়নে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
একই অবস্থ মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল। সরজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা জানান, ফণীর আঘাতে ৮৭ টি চৌচালা বসতঘর, ৪৯ টি দোচালা বসতঘর, ৬৫ টি রান্নাঘর ও ৬০ টি গোয়াল ঘর ও প্রায় ৩০ টি কাচারি ঘর ও মসজিদ ল-ভ- হয়ে যায়। প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে রয়েছে ধান, মরিচ, বাদামসহ কাঁচা তরকারি। কৃষকের অসংখ্য গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশুও মারা গেছে। চাঁদপুর
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, ঘূর্নিঝড় ফণীর আঘাতে চাঁদপুরের ৫টি উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়নের ৪৯টি গ্রাম ও ২০ চরাঞ্চলের ১৩৯টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর সেমিপাকা ও টিনের ১০৫টি ঘর সম্পন্ন বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । এছাড়া বিদ্যুৎ লাইনের ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এসব ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রতি উপজেলায় ১০ টন করে চাল ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ২৫ হাজার করে নগদ বিতরন করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে । পর্যাক্রমে ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
করেসপন্ডেট
১০ মে ২০১৯