চাঁদপুর

চাঁদপুরের চরাঞ্চলে বসতঘর ও গাছপালা লণ্ডভণ্ড

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে চাঁদপুরে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর না পাওয়াগেলেও নদীর পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বসত ঘর ও গাছলপালা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়েগেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হাতহত হয়নি।

শনিবার (৪ মে) আনুমানিক ভোর পৌনে ৪টার দিকে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের শিলারচর, খাসকান্দি, মান্দের বাজার গ্রামে প্রচণ্ড গতির ঝড়ো হাওয়ায় বসতবাড়ীগুলো ভেঙে পড়ে ও গাছপালা তছনছ হয়ে যায়।

অপরদিকে চাঁদপুরে শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে প্রচনণ্ড গতিতে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি না হলেও বাতাসের গতি কমেনি। মেঘনা নদী উত্তাল রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চরাঞ্চলের সাড়ে ৫হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে চাঁদপুর-ঢাকা নৌ রুটের সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর হরিণা ফেরিঘাট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রয়েছে।

রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, ঘূর্নিঝড় ফণীর আঘাতে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে আনুমানিক পৌনে ৪ টার দিকে শিলারচর. খাসকান্দি. মান্দের বাজার গ্রামে মানুষের ঘর বাড়ি. গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনো মানুষ হতাহত হয়নি কারণ ইউনিয়নের অধিকাংশ বাসিন্দাদেরকে শুক্রবার সন্ধ্যার পূর্বে নিরাপদ আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

হাইমচর উপজেলার হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন জানান, ভোর রাতে হাইমচরের ওপর ফণী আঘাত হানে। এতে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, তাঁরা মোবাইলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করতে ইউপির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হাইমচর উপজেলার ইউএনও ফেরদৌসী বেগম জানান, গভীর রাতের ঘূর্ণিঝড়ে হাইমচর ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
৪ মে ২০১৯

Share