চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীপাড় অবৈধ দখলে চলে যাওয় ভূমি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের সিএসডি খাদ্য গুদাম থেকে বিআইডব্লিউটি মোড় পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।
চাঁদপুর পৌরসভা এবং জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তায় এ অভিযান চলে।
টানা তিন ঘণ্টার এ অভিযানে ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ডাকাতিয়া নদীপাড়ের বিশাল ভূমি উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানিয়েছেন, ইট, বালি, রড, পাথর, কাঠ এবং নানা স্থাপনা গড়ে চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা থেকে শুরু করে ইচুলি পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই কিলোমিটার এলাকা বিভিন্নজনের দখলে ছিলো। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ দূষণসহ সরকারি ভূমি অবৈধ দখলে ছিল অন্যের হাতে। তাই বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
তিনি আরো জানান, ফুটপাতগুলো দখলমুক্তের পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে সকল বালু ব্যবসা সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ প্রদান করা হয়। অভিযানে ২০ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধারকৃত জায়গা পৌরসভা ও বিআইডব্লিউটিএ কে বুঝিয়ে দেয়া হয়, উক্ত রাস্তাটি দখলমুক্ত করার জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো।
চাঁদপুর শহরের এলএসডি খাদ্যগুদাম থেকে ইচুলী ঘাট পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেষে অবৈধভাবে গড়ে রাস্তার দুপাশের সকল ইট, বালু, কাঠ ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী অপসারণ করা হয়।
এর আগে প্রশাসন দখলদারদের উচ্ছেদে নোটিশ দিলেও অনেকে তা থেকে সরে যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এই অভিযান শুরু হয়। সব অবৈধ দখল শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমন অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ জামান।
অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), চাঁদপুর সদর অমিত চক্রবর্তী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ও নাজনিন সুলতানা, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম, পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পুলিশ সদস্যবৃন্দ, ব্যাটালিয়ান আনসার, কোষ্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
চাঁদপুর টাইমসে প্রকাশিত আগের প্রতিবেদনটি পড়ুন- সরু হয়ে আসছে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া : হুমকিতে আঞ্চলিক নৌ-পথ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯