Home / চাঁদপুর / বিশ্ব পর্যটক অধ্যাপক এলিজা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে – ভিডিও
বিশ্ব পর্যটক অধ্যাপক এলিজা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে

বিশ্ব পর্যটক অধ্যাপক এলিজা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে – ভিডিও

বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্য বিশ্ব পর্যটক ও লেখক এলিজা বিনতে এলাহী ৪৭ তম জেলা হিসেবে পর্যটন জেলা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে এসেছেন।

১৯ ও ২০ এপ্রিল চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সরেজমিনের ঘুরে দেখার পাশাপাশি লিখিত তথ্য, লোককথা, স্থিরচিত্র ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি ।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে “কোয়েস্ট” নামক প্রজেক্ট এর আওতায় ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে ভ্রমণ করে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে হেরিটেজ পর্যটনের ব্যাপারে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধকরেন ।

বাংলাদেশের ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া’র সহকারী অধ্যাপক এলিজা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ জেলা সহ ৪৬টি জেলার প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত করেছেন। ৭ম বিভাগ চট্টগ্রামের ৩য় জেলা চাঁদপুর ।

Eliza-tour-in-chandpur.

চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যদের সাথে অধ্যাপক এলিজা।

 

শিক্ষা ছুটিতে নেদারল্যান্ডস এর ‘দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়েড সায়েন্স’ এ অধ্যয়নরত এই পর্যটকের গবেষণার বিষয়ও ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের গুরুত্ব’ । বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি ইতোপূর্বে এশিয়া ও ইউরোপের ৪৬ দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিভ্রমণ করেছেন।

এশিয়ার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে রয়েছে তাঁর ২ টি প্রকাশনা, ‘এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরী’ ও ‘এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরী-২’ ।

এছাড়াও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ ও ‘এনটিভি অনলাইন’ সহ অন্যান্য পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন । এলিজা মনে করেন বিশ্ব ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে ‘হেরিটেজ ট্যুরিজম’ প্রসারের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

এলিজা বলেন “২০ বছরের বিশ্ব ভ্রমণের যাত্রায় আমার নিজেকে সত্যিকার ট্রাভেলার মনে হয়েছে যখন আমি বাংলাদেশের কোনায় কোনায় গেছি । আমার দেশের সংস্কৃতি , ইতিহাস, ঐতিয্য , মানুষ আমাকে যা আনন্দ দিয়েছে পৃথিবীর বড় বড় দেশ তা দিতে পারে নি । আমি দেখেছি গর্ব করার মত বিশ্ব মানের স্থাপনা আমাদেরও রয়েছে । প্রয়োজন শুধু সংরক্ষণ , রক্ষনা-বেক্ষন ও প্রচার প্রসারনা “।

৬৪টি জেলায় বৃহৎ পরিসরের কাজটি সম্পাদনের ব্যাপারে তিনি প্রশাসন, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ এপ্রিল ২০১৯