চাঁদপুর

নির্বাচনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে যেসব আচরণ বিধি মানতে হবে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ইং অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার জন্য (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এই আচরণবিধি প্রার্থী- রাজনৈতিক দল, সমর্থকসহ সবার জন্য প্রযোজ্য।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ পর্যন্ত প্রার্থী-সমর্থকরা এই বিধি মেনে চললে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন খান।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আচরণ বিধিমালা প্রনয়ন করেছেন, প্রার্থীদের ওুুই আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদেরকে যেসব আচরন বিধি মানতে হবে সেসকল আচরণবিধির উল্ল্যেখযোগ্য কয়েকটি আচরণবিধি তুলে ধরা হলো-

১। কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা, অনুদান ইত্যাদি প্রদান নিষিদ্ধ। কোন প্রার্থী কিংবা তার পক্ষ হতে অন্য কোন ব্যাক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা উক্ত এলাকায় বা অন্যত্র অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদানের অঙ্গীকার করতে পারবে না।

২। সার্কিট হাউজ, ডাক-বাংলো ইত্যাদি ব্যবহার- যেমন সরকারি ডাক বাংলো, রেস্ট হাউজ, সার্কিট হাউজ বা কোন সরকারি কার্যালয়কে কোন দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

৩। নির্বাচনী প্রচারণা- নির্বাচনী প্রচারনার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে বিধি ০৬ হতে বিধি ১৪ এর বিধানাবলী অনুসরন করতে হবে।

৪। সভা সমিতি অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বাঁধা নিষেধ- কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি – প্রচারনার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পন্ড বা উহাতে বাঁধা প্রদান করতে পারবে না। সভা করতে চাইলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

৫। পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার সংক্রান্ত বাঁধা নিষেধ- কোন প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নিন্মে উল্লেখিত স্থান বা যানবাহনে কোন প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবে না।

৬। যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা নিষেধ- কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যাক্তি কোন ট্রাক, বাস, মোটর সাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন, কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করতে পারবে না কিংবা কোনরূপ শো-ডাউন করতে পারবে না। এছাড়াও প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার নিষেধ, গেট বা তোরন নির্মাণ, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন ও আলোকসজ্জাকরণ সংক্রান্ত কিছু করা নিষেধ, উস্কানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, উচ্ছৃংখল আচরণ বা বিস্ফোরক বহন সংক্রান্ত বিধি নিষেধসহ আরো বেশকিছু আচরণবিধি মালা রয়েছে। যা নম্বরসহ আলাদা আলাদা ভাবে সর্বশেষ সংশোধনীসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মুদ্রিত করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

এদিকে নির্বাজনকে ঘিরে এরইমধ্যে চাঁদপুরের ৫ টি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন উত্তোলনসহ প্রচার প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতারা তাদের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আচরণ বিধিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে তা প্রার্র্থী, রাজনৈতিক দল ও সমর্থকরা মেনে চললে শুধু নির্বাচনী পরিবেশের জন্যই নয়, প্রার্থীদের জন্যও ভালো হবে। আমরা চাঁদপুরে অবাধ, সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ন নির্বচন উপহার দিতে পারবো।’

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
১৫ নভেম্বর, ২০১৮

Share