চাঁদপুরন ফরিদগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওয়াশ বল্ক (টয়লেট) দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্যবহারের অনুপোযোগী। তা ব্যবহার উপযোগী করার কোন উদ্যেগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
ফলে এ অফিসে কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের রুচিবোধের বিষয় নিয়েই এখন খোদ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সর্ব মহলে।
অভিযোগ আছে উপজেলার সবচেয়ে কর্মব্যস্ত অফিস হিসেবে শিক্ষা অফিসটি সব সময় শিক্ষকদের পদাচরানায় ব্যস্ত থাকে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিস হিসেবে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষকই নারী।
দাপ্তরিক কাজের জন্য অফিসটিতে এসে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় হারহামেশেই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ব্যপারে একবারেই উদাসিন। ফলে উপজেলা অফিসে এসে শিক্ষকরা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সাধারণ শিক্ষকরা বিষয়টি শিক্ষা অফিসরাকে বার বার অবগত করলেও তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেনা বলে শিক্ষকদের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা বেশ কিছু শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে ওয়াশ বল্ক অপরিচন্ন থাকলে শিক্ষকদের নাজেহাল করে থাকেন। কিন্তু তাদের অফিসের ওয়াশ বল্কগুলো বছরের পর বছর নোংরা ও ব্যবহারের অনুপোযী হলেও কোন পয়নিষ্কাষণের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এমন কি এ খাতের বরাদ্ধকৃত অর্থ লোপাট করাই তাদের দায়িত্ব বলে মনে হয়।
শিক্ষদের দাবি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারদের রুচিবোধ আর ব্যক্তিগত শিক্ষার কতটা অভাব তা কেবল উপলব্ধি করা যায় তাদের দপ্তরের টয়লেটগুলোর সচিত্র দেখলে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার মো. মনির উজ্জামান খানের বক্তব্য নেয়ার জন্য মুঠোফোনে ০১৭১২-৭৮৪২৭২ যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯