ফরিদগঞ্জ

ঢাবির শিক্ষক হলেন ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান মাহাদী হাসান

চলতি বছর জানুয়ারীতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাবির আরবি বিভাগে লেকচারার হিসেবে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন চাওয়া হয়। যথাযথ যোগ্যতা আর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বুনছিলেন এ প্রার্থী নিজেও।

তাই স্বপ্নকে বাস্তবে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান মাহাদী হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক নিয়ম অতিবাহিত হওয়ার পর, গত ২৮ আগস্ট ২০১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ-এর কক্ষে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতকারে সকলের সাথে তিনিও অংশগ্রহণ করেন।

৫৪ জন প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে এখানেও প্রথম হন এবং একমাত্র লেকচারার হিসেবে ৫ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন বোর্ডেও সুপারিশপ্রাপ্ত হন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় চুড়ান্ত অনুমোদন পান তিনি এবং অদ্য ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পূর্বাহ্নে আরবি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

বলা বাহুল্য, তিনি একাডেমিক ফিল্ডে কাজ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই স্বপ্নকে লালন করে আসছিলেন। গবেষণা খাতে নিজেকে মেলে ধরার এবং বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করা তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

২০০৯-১০ সেশনে ভর্তি, বি.এ. (সম্মান) ২০১৩, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং কলা অনুষদে প্রথম হয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বর্নপদক লাভ।

এম.এ. (এ.এল.টি.)-২০১৪, সিজিপিএ ৩.৯৭ (আউট অব ফোর) অর্জন করে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ার কৃতিত্বও তিনি অর্জন করেছেন। ২০১৫ সালের শেষদিকে উচ্চ শিক্ষার্থে ব্রুনাই গমন এবং ব্রুনাই সরকারের বৃত্তি নিয়ে সুলতান শরীফ আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মস্টার্স (রিসার্চ) ডিগ্রী লাভ করেন সফলতার সহিত। গবেষণায় নৈপুন্য প্রদর্শনর স্বীকৃতিস্বরুপ মালয়েশিয়া থেকে “ইয়ুথ রিসার্চার এ্যাওয়ার্ড” অর্জনটাও তার বাকি ছিলনা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুরী গ্রামের মানুরী দরবার শরীফের মরহুম হযরত পীর সাহেব হুজুর (রহ.)-এর ছোট ছেলে মনোয়ারুল ইসলাম এবং ধানুয়া সেকান্দর খাঁন বাড়ির বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক জনাব কোব্বাদ খাঁন এর মেয়ে হাসিনা’র একমাত্র ছেলে মাহাদী হাসান।

বাবা মা ও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরে তিনি মহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন। সকলের কাছে একান্ত দোয়াপ্রার্থী।

Share