লাইফস্টাইল

শহীদ বুদ্ধিজীবী ছিলেন ডা.ফজলে রাব্বী

১৯৩২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা.ফজলে রাব্বী। তার বাবা আফসার উদ্দিন আহমেদ। মা সুফিয়া খাতুন। পাবনা জিলা স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে থেকে ১৯৫৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন।

১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মেধাবী ছাত্র হিসেবে তিনি এমবিবিএস চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। ১৯৬০ সালে ডা.রাব্বী যুক্তরাজ্যের এডিনবরা থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। তিন বছর পর দেশে ফিরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।

১৯৬৮ সালে তিনি একই সঙ্গে মেডিসিন ও হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হন। অধ্যাপনা ও চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি গবেষণার কাজও করতেন। ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল’ ও ‘ল্যান্সেট’ সাময়িকীতে তার প্রচুর গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ই তিনি ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার ডা.রাব্বী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন বাঙালির স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিটি আন্দোলনেই অংশগ্রহণ করেছেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। তার বাসায় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই আসতেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র একদিন আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েকজন সেনাসহ রাজাকার-আলবদররা ডা.ফজলে রাব্বীকে তার সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৮ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে শহীদ ডা.ফজলে রাব্বীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

বার্তা কক্ষ
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Share