চাঁদপুর সদর

ডা. দীপু মনির উঠোন বৈঠকে নেতাকর্মীদের ঢল

চাঁদপুর-৩ আসনের অওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু যেখানেই গণসংযোগ করছেন সেখানেই যেনো অসংখ্য নেতাকর্মী ও নারী-পুরুষের ঢল নামছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সদরের আশিকাটি ইউনিয়নেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এদিন তিনি সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ ও ক’টি উঠান বৈঠকে অংশ নেন। তার সবগুলো উঠোন বৈঠক ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন। তাই আমি এমপি হয়েছিলাম। সে কারণেই শেখ হাসিনা আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।’

৩০ তারিখের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ভোট চাওয়ার হকদার। কারণ আমি এ দশটি বছর আপনাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছি। বিএনপি’র লোক এসে ভোট চাইবে কিন্তু আপনার বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে ভোট দেবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আবার নৌকায় ভোট দিন। শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। আমি আপনাদের কাছে আবারও কাজ করবার সুযোগ চাই।’

‘পিংড়াবাজার থেকে ছৈয়াল বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি ২ বছর আগে কাজ পেয়েও বিএনপি’র একজন ঠিকাদার রাস্তাটি করে নি। রাস্তা হয়ে গেলে আমার সুনাম হবে তাই তিনি কাজটি করেনি। কাজটি আবার টেন্ডার হয়েছে কাজ দ্রুত শুরু হবে ইনশাল্লাহ। বর্তমানে অনেক নতুন ভোটার হয়েছে উন্নয়নকে ধরে রাখতে আমি আশা করি নতুন ভোটারসহ সকলের ভোট নৌকার পক্ষে হোক, উন্নয়নের পক্ষে হউক।’

উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ১৫৯টি সেতু কালভাট তৈরি করা হয়েছে।নাসিং ইনিস্টিউট,কোস্টগার্ড স্টেশন,পাসপোর্ট অফিস, মেডিক্যাল কলেজ, কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩০টি আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩,৭৫০ গৃহহারা পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রধান সমস্যা ছিল নদীভাঙ্গান। আমি চাঁদপুর-হাইমচরবাসীকে নদী ভাঙ্গার হাত থেকে রক্ষায় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ কি.মি.নদীরপাড় স্থায়ীভাবে বাঁধ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ৩ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৫ বছরের পুরোনো লাকসাম চাঁদপুর রেলপথকে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন , ‘আমার নির্বাচনি এলাকায় ৩২৪ স্কুল, ৫৩ কলেজ, ২২৭ কি.মি. নতুর রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৮ নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ হাতের কাছেই তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে। আমি নির্বাচনের আগে যে সকল কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি করেছি। ইনশাল্লাহ আগামি দিনে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখবো।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকার,জেলাস্বচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক জাফর ইকবাল মুন্না, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেদওয়ান, সাধারণ সম্পাদক নাছির হোসেন গাজী, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শাহিদা বেগম, ইউনিয়ন যুবলীগের আহব্বায়ক সেলিম মাল, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সেতা বিল্লাল মাস্টার, নাজিম উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও এর অংগসহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
১৩ ডিসেম্বর ,২০১৮ বৃহস্পতিবার

Share