কোন একটা ব্যবস্থা যখন করা হয় তখন তার পেছনে অবশ্যই কোন না কোন যুক্তি থাকে। তবে, সবসময় তা ঠিক নাও থাকতে পারে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আর উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
সম্প্রতি একটি বেসকরারি টেলিভিশনের ‘মন্ত্রী সাহেব’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন দীপু মনি।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব পরীক্ষা থেকে সরে যাচ্ছে। সেই দেশগুলো মধ্যে অনেক অবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে ভিন্নতা রয়েছে।
সেখানে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির বিষয় নিয়ে ভাবতে হয় না। সেসব দেশে যে কত বাচ্চা স্কুলে আসবে সেসব নিয়ে ভাবতে হয় না। তাদের সব শিশুই স্কুলে যায়। তাদের ঝড়ে পড়ার হার নিয়ে ভাবতে হয় না অন্তত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিন্তু আমাদের ভাবতে হয়।
আর এ কারণে পিএসসি, জেএসসি এই দুটি পরীক্ষা বাচ্চাদের জন্য নিয়ে আসা। যাতে প্রথম পরীক্ষায় এসে তারা জানে পঞ্চম শ্রেণি পার করলে একটা সনদ পাওয়া যাবে। তখন এক ধরণের আকাঙ্ক্ষা জাগে আর দুই-একটা বছর পরেই তো আর একটা সনদ পাওয়া যাবে।
দরিদ্র বাবা-মায়ের মধ্যে একটা চিন্তা ভাবনা থাকে আমার ছেলে বা মেয়ে যদি একটা সনদ পায় তাহলে এগুলো তাদের ভবিষ্যতে চাকরিতে কাজে লাগবে। আমাদের দেশে অষ্টম শ্রেণির সনদ অনেক চাকরির ক্ষেত্রে লাগে।
এই পরীক্ষাগুলো ঠিক পাবলিক এক্সামিনেশন মতো না কিন্তু এগুলো একটা ধারণা মাত্র যাতে শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে পরীক্ষায় ভয় দূর হয়। তাছাড়া একটা সনদের আশায় ঝড়ে পড়ার পরিমাণও কমবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের জয়লাভের পর বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। তিনি দশম সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে তিনি পুনরায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদে দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী। (বিডি২৪লাইভ)
বার্তা কক্ষ
১৪ মে ২০১৯