Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর দর্জিঘাটে ডাকাতিয়ার ভাঙ্গন : অভিযোগের তীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে
dorjighat-banghon

চাঁদপুর দর্জিঘাটে ডাকাতিয়ার ভাঙ্গন : অভিযোগের তীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে

চাঁদপুর শহরের দর্জিঘাট এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, যার ফলে হুমকির মূখে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বহু বাড়ি ঘর। ভাঙ্গন রোদে স্থানীয় ভাবে ফেলা হচ্ছে মাটি ভর্তি বস্তা। একই সাথে বড় ধরনের ভাঙ্গন আতংকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

অপরদিকে ভাঙ্গন এলাকায় যেসব পরিবারের বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অনেকেই নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গন ঠেকাতে বাশেঁর খুটি গেরে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানাযায়, চাঁদপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডস্থ ৬২ নং গুনরাজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তার পার্শ্ববর্তি দর্জি বাড়ি, বেপারী বাড়ির সামনে থাকা ডাকাতিয়া নদী পাড়ের প্রায় আড়াই গজ জায়গা জুড়ে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

ওই দুই বাড়ি বেশ কিছু পরিবারের বসতঘর ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ নদীর ওপাড়ে দেশ এর্নাজি পাওয়ার নামক বেসরকারি একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে গত কয়েক বছর ধরে অল্প, অল্প করে ভাঙ্গন দেখা দেয়।

কারণ নদীর ওপারে থাকা চরের সাথে নদীর পাড় জুড়ে অনেকটা বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে এবং প্রায় সময়ই সেখানে কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা জাহাজ, শিপ সেখান নোঙর ফেলে রাখার কারনে নদীর জোয়ার-ভাটার স্রোতটা ভাঙ্গনস্থানে গিয়ে তার ঢেউ আঘাত করে।

তখনই অল্প অল্প করে ভাঙ্গন শুরু হয়। তারা জানান, একসময় ভাঙ্গন এলাকার এপারে চর জেগে ছিলো। কিন্তু গত কয়েক বছরের ভাঙ্গনে সেই চরটি ও এখন নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আর তার একমাত্র কারন হচ্ছে দেশ এর্নাজি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মান করার জন্য।

৬ নভেম্বর বুধবার সকালেও একই ভাবে ভাঙ্গন দেখা দিলে ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি বিষয়টি চাঁদপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদকে অবগত করলে তিনি ভাঙ্গনস্থানে প্রাথমিক ভাবে মাটির বস্তা ফেলার পরামর্শ দেন।

তারপর বুধবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে প্রায় ১ দেড়শ মাটির বস্তা ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন হাবিবুর রহমার দর্জি।

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ৬ নভেম্বর ২০১৯