২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। এতে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবায় ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে রোগীদেরকে।
নৈকট্য ও যোগাযোগ সুবিধায় মেঘনা নদীর পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে শরীয়তপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষ্মীপুর জেলার অধিকাংশ রোগী চিকিৎসা নিতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আসেন। তাই এ হাসপাতালে রোগীর ভিড় থাকে সর্বদা।
অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবল সংকট প্রকট।যার ফলে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
৪৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি পদ খালি। এ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, অর্থোসার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও দু’জন ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক দিয়ে কোনোভাবে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা।
অবসরজনিত কারণে গাইনি ও অর্থোসার্জারি সিনিয়র কনসালটেন্টের জায়গায় নতুন কাউকে দেয়া হয়নি। হাসপাতালের অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এছাড়া জেলার আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও চিকিৎসক সংকট বিরাজমান। আবাসিক চিকিৎসকসহ (আরএমও) অন্য চিকিৎসকরা জানান, ‘চিকিৎসক সংকটে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও জরুরি বিভাগসহ আউটডোর সেবায় চিকিৎসক সংকট থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল আজিম জানান, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইতিমধ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। ভিজিট টিমের কাছে চিকিৎসক ঘাটতির তথ্য প্রদান করা হয়েছে। অচিরেই তা পূরণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। চিকিৎসক ও জনবল সংকট নিরসন হলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা আরও উন্নত বা মসৃণ হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।’
করেসপন্ডেট
১৩ মার্চ,২০১৯