চাঁদপুরে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মো.আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
মেয়র নাছির উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী আমাদের দেশের জন্য দুর্লভ অনুভূতি। এ জাতি কখনো স্বাধীন ছিল না। এই ঘুমান্ত জাতিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাগ্রত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা আমাদের এই স্বাধীণতা। তিনি কারাবন্দী নেতা ছিলেন। এই বিশ্ববাসী তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এদেশের মাটিতে কবর দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা ছাড়া দিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ১ কোটি সরণার্থীকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ভারতের ১২ হাজার সেনা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে। পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন ইতিহাস হয়ে থাকবে ভারতের কথা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে নকশাল আন্দোলন চলছিল। তখনও ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধে তাদের সৈন্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন সীমারেখা নেই। সেই দিক থেকে চঁাদপুরে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে তারা প্রতিনিয়তই সাংষ্কৃতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।’
চট্টগ্রামে কর্মরত সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন,‘ ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল এখানে অনুষ্ঠান করতে পেরে দু’দেশের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী বন্ধন সৃষ্টি করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে সৈন্য কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কোন অপশক্তি এই মেইল বন্ধন চিহ করতে পারবে না। আমাদের যুব শক্তিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ থাকবে না। তিনি আরও বলেন, এখন আর ভারত ভিসার জন্য চট্টগ্রাম যেতে হয় না। কুমিল্লায় ভিসার অফিস খোলা হয়েছে। ’
লেখক ও ছড়াকার ডা. পীযুষ কান্তি বড়–য়ার সঞ্চালয় আলোচনায় সভায় অনুষ্ঠনে নৃত্যাঙ্গন চাঁদপুরের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে এবং রূপালী চম্পক সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ড.নিপা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সংগঠক হিসেবে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটওয়ারীকে ইন্দিরা গান্ধী কালাচারাল সেন্টারের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আশিক বিন রহিম
২৯ জুন ২০১৯