সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজনৈতিক সহিষ্ণু অঞ্চল চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র শেখ ফরিদের হাতে তুলে দেন।
একই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বর্তমান সাংসদ ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে। দীপু মনি ও শেখ ফরিদ জেলা শহরের একই এলাকার বাসিন্দা। দীপু মনি নতুন বাজার এলাকায় জে এম সেনগুপ্ত সড়কের উত্তর পাশে তিন তলা বাড়িতে থাকেন। সড়কটির ঠিক দক্ষিণ পাশের বাংলো শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের।
স্থানীয় লোকজন বলেন, এ আসনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দীপু মনি ও ফরিদ আহমেদ মানিক এ–বাড়ি, ও–বাড়ির বাসিন্দা। বাড়ি থেকে বের না হয়ে একজনের বারান্দায় দাঁড়ালেও অন্যজনকে দেখা যায়।
এ আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিকভাবে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ রাশেদা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক সরকার, গণফোরামের জেলা সভাপতি সেলিম আকবর ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এস এম আলমকে মনোনয়ন দেয়।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ বলেন, শেখ ফরিদ আহমেদ বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব বিরাজ করেছে। তিনি মনোনয়ন না পেলে চাঁদপুরে বিএনপিতে বিপর্যয় নেমে আসতো।
অন্যদিকে স্বাধীনতার পর ২০০৮ সালে প্রায় ৮৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির জি এম ফজলুল হককে হারিয়ে দীপু মনি প্রথমবারের মতো এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫ টি আসনেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না। সে হিসেবে অন্যান্যদের সাথেও তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
ভোটাররা বলেন, দীপু মনি সাংসদ হওয়ার পর চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় নদীভাঙন রোধসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। তবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক প্রার্থী হওয়ায় তীব্র প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। (উৎস- প্রথম আলো)
বার্তা কক্ষ ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮