পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঈদের ২য় দিন হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের ডাকাতিয়া নদীর পাড়জুড়ে ঈদযাত্রা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
ত্যাগের মহিমায় মেতে উঠে গত বুধবার সারাদেশে একযোগে পালিত হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারা দেশের সাথে ঈদের এমন আনন্দে মেতে উঠেছিলো হাজীগঞ্জ তথা চাঁদপুরবাসী। আর ঈদের এ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাড় ছিলো দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভিড়।
গত কয়েক বছর ধরে ঈদের দিন হতে শুরু করে এ ভিড় থাকে ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এবার বৈরী আবহাওয়ার কারনে ঈদের দিন বিকেলে মানুষের তেমন কোন উপস্থিতি দেখা না দিলেও ঈদের ২য় দিন থেকে শুরু হয় মানুষের বাঁধভাঙ্গা ঢল। আর দর্শনার্থীদের এমন ঢল সপ্তাহ যুড়ে চলতে থাকবে বলে জানা যায়।
বর্তমানে এ উপজেলার একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ডাকাতিয়া ব্রিজ তথা নদী বাড়ী, কুটুম বাড়ী রেষ্টুরেন্ট জুড়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের দিন বিকেলে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এমনকি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা মানুষ ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাশজুড়ে উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঘুরতে এসেছেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। কেউ কেউ তাদের ভাই, ভাবি, ভাতিজী ,বোন, ভাগিনা , ভাগ্নি কিংবা কেউ তাদের প্রিয়জনকে নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরেও অধিক সময় পর্যন্ত এসব মিলনস্থলে ঘুরে ফিরে সময় কাটাতে দেখা যায়। বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে সৃষ্টি হয় এক মহা মিলন মেলা।
বিশেষ করে ডিগ্রি কলেজের সামনে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ফ্যান্টাসি গার্ডেন ও হাজীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাড়ে নদী বাড়ীতে গেলে নাগর দোলা এবং চরকী ঘোড়া থাকায় শিশুরা সেগুলিতে চড়ে আরো বেশি আনন্দপায়। আবার কেউ কেউ নিজস্ব ক্যামেরা কিংবা মুঠোফোনে বিভিন্ন রঙে ঢঙে ইলিশ সেলফি জোন, নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ঈদে অনেক আনন্দ উপভোগ করতে দেখা যায়।
এভাবেই দর্শনার্থীরা হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের ডাকাতিয়া ব্রিজ জুড়ে ঈদের কয়েকদিন ঘুরে ফিরে সময় কাটাবেন বলে জানা যায়।আর ঈদের এ আনন্দকে নিজেদের মতো করে উপভোগ করে নেন। তবে ব্যস্ততম সড়কের ব্রিজের উপর দর্শনাথীদের জন্য মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ী পাকিংয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় যততত ভাবে সড়কের উপর গাড়ী রেখে যানজট সৃষ্টি করতে দেখা যায়।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষের চরম ভোগান্তি ও দূও চিন্তা মাথায় রয়ে যায়।
ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ঘুরতে আসা রাশেদ হোসেন, কহিনূর বেগম, সীমা আক্তার, রাসেল হোসেন, আলআমিন, মিতু আক্তারসহ বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান হাজীগঞ্জে তেমন কোনো পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় এটিই এখন একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহার করতে হচ্ছে।
তাই তাদের দাবি ডাকাতিয়া নদীর পাড় জুড়ে যদি আরো উন্নত কওে পর্যটন এরিয়া করা হয় তাহলে দর্শনার্থীরা এখানে এসে আরো বেশি আনন্দিত হতে পারবে। আর এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আগামিতে যদি হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর পাড় জুড়ে পর্যটন এরিয়ার আওতায় আনা যায় তাহলে এ উপজেলার পরিচিতি ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়
৬ জুন ২০১৯