চাঁদপুরে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা। দিনের পর দিন চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। আর এসব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসক।
খবর নিয়ে জানাযায়, গত মাস থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এবং আবহাওয়া দুর্যোগের কারনে হাসপাতালে যেসব রোগীরা ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগীদের প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন হাসপাতালের সহকারী রেজিষ্টার ( মেডিসিন) ডাঃ পিযুষ সাহা, ও সহকারী রেজিষ্টার (মেডিসিন) ডাঃ জি এম ফারুক।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, গত মাস থেকে চলতি মাসে শিশুসহ সর্বমোট ১৪০ জন ব্যাক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ৪১ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এসব রোগীদের প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম পড়তে হচ্ছে এই দুই চিকিৎসকে।
দেখা গেছে হাসপাতালে একদিকে যেমন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। অন্যদিকে জ্বর, সর্দি কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। তাই অন্যান্য সময়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের যেমন স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসাসেবা দিতেন এই দুই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কিন্তু হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় তারাও চাপে পড়ে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। যেখানে হাসপাতালে এমন রোগীর ভিড়ে ৪ থেকে ৫ জন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন, সেখানে তারা দু,জনই হিমশিমের মধ্যদিয়ে সামলাচ্ছেন সে চাপ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভিড়ে এই দু,চিকিৎসকের পাশাপাশি একই ভাবে চরম হিমশিমে রয়েছেন প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আব্দুল মালেক মিয়াও। দেখা গেছে গত এক মাস ধরে চাঁদপুরে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তে অনেকেই হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষা করার জন্য আসেন। সাধারন মানুষজন ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের ওই প্যাথলজি বিভাগে যান। কিন্তু যেখানে, এত রোগীর পরীক্ষার জন্য ৩/৪ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। সেখানে দু,জন টেকনোলজিস্টই এত রোগীদের পরীক্ষা করে আসছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজিম বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের জন্য আমরা চট্টগ্রামের ডাইরেক্টর বরাবর আবেদন করেছি। গত শনিবার থেকে আরো দু,জন টেকনোলজিস্ট কাজ করছে। এছাড়া ইনঢোরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো দু,জন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য আবেদন করেছি। এখন উধর্বতন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক দিলেই তাদের কিছুটা চাপ কমবে।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি, ৫ আগস্ট ২০১৯