চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, সরকারি সকল দপ্তরের কার্যক্রম উন্নত করতে হবে। সোনার বাংলায় মধ্যসত্ত্বভোগীর (দালাল) কোন স্থান নেই। দুষ্ট লোক সবসময়ই ছিলো। তারা সুযোগ নিয়ে দুষ্ট কাজগুলো করে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শতভাগ পূর্ণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কোনরুপ ছাড় দেয়া যাবে না। কোন সমস্যা হলে জেলা প্রশাসন দেখবে।
রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মানে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন অভাব হচ্ছে বাস্তবায়নের। কারণ উন্নয়ন কার্যক্রম যে মানে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা যেভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার কথা, সেভাবে করছেন না। তাদেরকে সরকারের কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বন্যার প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর জেলার নদী উপকূলীয় উপজেলাসহ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সতর্ক থাকবেন এবং সমন্বয় সভা করবেন। দূর্যোগ সময়ে সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল এবং ৪টি পয়েন্টে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে ৩১টি অনুসাশসন এর কথা বলেছেন। এসব অনুসাশন আমাদের মানতে হবে। এসব বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার জন্য সকলকে ডিজিটাল সুবিধার আওতায় থাকতে হবে।
সভায় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, আজকে নদীতে পানি বেড়েছে। আগামী ২ থেকে ৩দিন আরো পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময় নদীর পাড়ের লোকজনসহ সকলেই সতর্ক থাকতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শওকত ওসমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি হেড কোয়াটার) মো. আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ.কুদ্দুস, মতলব দক্ষিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ.এম. গিয়াস উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার, চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
সভায় জেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম, ২১ জুলাই ২০১৯